শেষ ম্যাচটা ফাইনাল বানিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
শ্রীলঙ্কা ৩০০/৬, ৫০ ওভার (ডিকভেলা ১১৬, গুনাতিলাকা ৮৭, ম্যাথিউস ৪২, এমপোফু ২/৬১, ওয়ালার ২/৪৪)
জিম্বাবুয়ে ২১৯/৬, ২৯.২(৩১) ওভার (এরভিন ৬৯*, মিরে ৪৩, মুসাকানদা ৩০, হাসারাঙ্গা ৩/৪০, গুনারত্নে ১/৪১)
ফলঃ জিম্বাবুয়ে ডি-এল পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে জয়ী
হাম্বানটোটায় বৃষ্টি হানা দেয়ার আগেই ডিএল পদ্ধতিতে এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি থামলো, জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ালো ৩১ ওভারে ২১৯। ৬০ বলে ৮০ রানের বাধাটা পেরিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে মূলত ক্রেইগ এরভিনের ব্যাটে ভর করেই। বৃষ্টির আগে ২৪ রানে অপরাজিত থাকা এরভিন শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন ৬৯ রানে। সিরিজেও তাই টিকে থাকলো জিম্বাবুয়ে। হাম্বানটোটার শেষ ম্যাচটা তাই সিরিজের ফাইনাল।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ম্যাথিউস। আরেকটা টস হারলেন ক্রেমার। শ্রীলঙ্কান ওপেনাররা গড়লেন ইতিহাস। আগের ম্যাচে ৩১০ রান তাড়ায় ডিকভেলা-গুনাতিলাকা করেছিলেন ২২৯, আজ করলেন ২০৯। ইতিহাসে প্রথম পরপর দুই ম্যাচে ২০০ রানের জুটি গড়লেন তারা। ডিকভেলা টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন, পাননি গুনাতিলাকা। দুজনকেই ফিরিয়েছেন ওয়ালার।
তৃতীয় উইকেটে থারাঙ্গা-ম্যাথিউসের ৪১ রানে জুটিটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষদিকে ম্যাথিউসের সঙ্গে হাসারাঙ্গার ৩৭ রানের দ্রুত জুটিতে ৩০০ ছোঁয় শ্রীলঙ্কা। সিরিজে তিনবার ৩০০ বা এর বেশি স্কোর আছে শ্রীলঙ্কার।
জিম্বাবুয়ের ৬৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে মাসাকাদজার আউটে। আরেক ওপেনার মিরেকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। মুসাকানদা-এরভিনের ৪৬ রানের জুটি পথ দেখিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। মুসাকানদার আউটের পরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। রান-রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আউট হন উইলিয়ামস ও রাজা। গুনারত্নের বলে স্টাম্পড উইলিয়ামস। অসাধারণ ফিরতি ক্যাচে রাজাকে ফেরান হাসারাঙ্গা। ১৩ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলা ওয়ালার সানদাকানের বলে ক্যাচ দেন শেষ মুহুর্তে।
ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে জিম্বাবুয়ে।
১০ জুলাইয়ের ম্যাচটার দিকে বাড়তি নজরও পড়ে গেছে।
ম্যাচসেরাঃ ক্রেইগ এরভিন