'সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি'
সামনে ব্যস্ত সময়। সিরিজের পর সিরিজ লেগেই থাকবে বাংলাদেশের। ফাঁকা এ সময়টা কাজে লাগাতে চলছে ফিটনেস ও কন্ডিশনিং ক্যাম্প। বৃষ্টি ঢাকার আকাশ ভেঙে নেমেছে যেন আজ, তাতে অবশ্য ক্রিকেটারদের তেমন অসুবিধা হলো না। সূচীতে এমনিতেই ছিল জিম, উলটো দাপাদাপি করে ফুটবল খেলার সুযোগটা করে দিয়েছে বৃষ্টি।
ফিটনেস ক্যাম্পটাকেও একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘এটা আসলে ফিটনেস কন্ডিশনিং ক্যাম্প। এমনিতে আমরা সেভাবে আলাদা করে সময় পাই না। আসলে ক্রিকেট-জীবনটাই তো নিয়ম মেনে চলার! সবসময় খেলার ওপর থাকি। সফরে থাকি, ঢাকায় থাকি। বাসায় গেলে হয়তো ফিটনেসের দিকে অতোটা খেয়াল করা হয় না, তখন সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। হয়তো সপ্তাহে একদিন জিম করলাম বা দৌড়ালাম। এখানে তো অনেক সুযোগ। সবার ফিটনেসের উন্নতি করিয়ে সামনের এক বছর যাতে সমস্যা না হয়, ক্যাম্পটা সে কারণেই। খেলার সময় রানিং, স্ট্রেচিং হবে। তখন কোনো সমস্যা হবে না আর।’
এর আগে এমন একটা সুযোগ পেয়েছিলেন, জানালেন সেটি, ‘সবাই যদি এরকম দিন বিশেকের মতো সময় পায়, সেটা ফিটনেসের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তখনও জাতীয় দলে ঢুকিনি, একটা ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছিল। সেটা দিয়েই কিন্তু এক বছর ক্রিকেট খেলেছি আমরা জাতীয় দলে। সেটা খুব ভাল কন্ডিশনিং ক্যাম্প ছিল। তখন এইচপি দলে ছিলাম।’
এ সুযোগে নিজের স্কিল নিয়েও কাজ করতে চান ইংল্যান্ডকে টেস্ট হারানোর অন্যতম নায়ক, ‘আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। সামনে অনেক সিরিজ আছে, আশা করি অনেক ভাল হবে। এই ক্যাম্পটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময় আমরা পাবো না। এখানে আমরা ঝালাই করে নিতে পারবো। স্কিলের উন্নতি করতে পারবো। ফিটনেস উন্নত হবে। পারফরম্যান্সটাও ভাল হবে।’
তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে এখনই ভাবতে চাননা, ‘এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি না। ফিটনেস, স্কিল উন্নত করছি। ওই সিরিজের অনুশীলন শুরু হলেই ওটা নিয়ে (আলাদা করে) চিন্তা করবো। তবে লক্ষ্য থাকবে তো ভাল করার জন্য। (ইংল্যান্ড সিরিজের মতো) উইকেট পেলে সাহায্য করবে সেটা।’
ঘরের মাটিতে শেষ সিরিজের স্মৃতিটা বেশ সুখকর মিরাজদের। শুধু সেটা নয়, গত এক বছর ধরেই বাংলাদেশের উন্নতিটা দেখাতে চাইছেন মিরাজ, ‘আসলে এটা সবাই জানে, আমরা শুধু ওয়ানডে ভাল খেলছি না, টেস্টেও ভাল খেলছি। শেষ এক বছর আমরা অনেক ভাল খেলেছি, অনেক জিতেছিও। ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতেছি। আমরা বিশ্বের যে কোনো দলকেই হারানোর যোগ্যতা রাখি। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
আলাদা করে প্রমাণের হয়তো কিছু নেই, তবে চ্যালেঞ্জ তো আছেই। মিরাজ যেটা নিতে ভালবাসেন। আপাতত অবশ্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে মিরাজের জন্য। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন তিনি। সামনের মাসে শুরুর দিকে শুরু হবে সেই টুর্নামেন্ট, মিরাজ তার আগেই যাওয়ার আশা করছেন, ‘সামনের মাসের ১ তারিখ থেকে খেলা সিপিএলের। সিইওর কাছে চিঠি যাবে। বোর্ড থেকে চিঠি নিতে হবে। কোচকেও জানিয়েছি, কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করে আমি যেতে পারবো। আশা করি এ মাসের শেষের দিকে আমি যেতে পারবো।’