সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চান কায়েস
ফিটনেস অনুশীলন, জিমে ঘাম ঝরানো- বাংলাদেশ দলের কাছে সেই অর্থে খুব একটা উপভোগ্য কখনোই ছিল না। তবে ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েন যেমন প্রথম দিন শেষেই বলেছিলেন, এবার দলের সবাই উপভোগই করছেন। চতুর্থ দিনের অনুশীলন শেষে ইমরুল কায়েসের কথায় সেটিরই প্রতিধ্বনি। জানালেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য নিজেদের ভালোভাবেই ঝালাই করে নিচ্ছেন সবাই। জানিয়ে রাখলেন, সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চান।
চতুর্থ দিন মাশরাফিরা ঘাম ঝরিয়েছেন জিমেই। তার পর প্রায় নিয়ম হয়ে যাওয়া ফুটবল খেলায় আরও যেন আরও বেশি ‘সিরিয়াস’ ছিলেন সবাই। ইমরুল কায়েস অবশ্য তার আগেই জানিয়ে গেলেন নিজের লক্ষ্য, অবশ্যই উপভোগ করছি (ফিটনেস অনুশীলন)। বছরে একটা সুযোগ থাকে, একবার শেষ করলে ভালোভাবে দুইটা বছর খেলা যায়। সবাই সিরিয়াস। আমিও বেশ সিরিয়াস।’
প্রাসঙ্গিকভাবে চলে এলো অস্ট্রেলিয়া সিরিজের লক্ষ্যও। কায়েস বেশ আশাবাদী, ‘আমাদের কন্ডিশনে টেস্ট বা ওয়ানডে, যে ফরম্যাটই বলেন, আমরা ভাল দল। শেষ ইংল্যান্ডের সাথে কঠিন কন্ডিশনে ভাল খেলেছি। আশা করি অস্ট্রেলিয়ার সাথেও তেমনই হবে। এসব উইকেটে কিভাবে খেলা দরকার, আমাদের প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান বোলার আসলে সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে।’
নিজে অবশ্য বেশ কিছুদিন দারুণ করেও ঠিক দলে সেভাবে থিতু নন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, তার আগে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরেও একটি করে টেস্ট খেলতে পেরেছেন। কায়েস সেটি মেনেই নিজের ইচ্ছাটা জানিয়ে রাখলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা যে কোনো জায়গায় যদি আপনি হঠাৎ করে ম্যাচ খেলেন সেটা কঠিন হয়ে যায়। তবে মানিয়ে নিতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, সুযোগ আসলে সেটাকে কাজে লাগানো। আমি আমার কাজটা করার চেষ্টা করি। হয়তো ম্যানেজমেন্ট অন্যকিছু চিন্তা করেন। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাব। কেউ শতভাগ নিখুঁত না। সবারই শক্তির দিক যেমন আছে, দুর্বলতাও আছে। আমিও চেষ্টা করি ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা ধরে রাখা শক্ত। আমিও আট বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কখনও ভাল খেলি, কখনও খারাপ। এভাবেই ক্যারিয়ার চলছে।’