শ্রীলঙ্কার চেয়ে পাল্লাটা ভারি জিম্বাবুয়ের দিকেই
দ্বিতীয় দিন শেষে
জিম্বাবুয়ে ৩৫৬
শ্রীলঙ্কা ৮৩ ওভারে ২৯৩/৭ (থারাঙ্গা ৭১, চান্ডিমাল ৫৫; ক্রেমার ৩/১০০)
ওয়ানডে সিরিজে ইতিহাস গড়ে জয়। তবে খেলাটা যখন পাঁচ দিনের, জিম্বাবুয়ের জন্য সেটির পুনরাবৃত্তি করা আরও অনেকই কঠিন। সেই পথে যে জিম্বাবুয়ে অনেক দূর চলে গেছে, দ্বিতীয় দিন শেষেই তা বলে দেওয়া মুশকিল। তবে ম্যাচের পাল্লাটা একটু হলেও এখন জিম্বাবুয়ের দিকে হেলে আছে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ৬৩ রানে, হাতে আছে ৩ উইকেট।
অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের সঙ্গে সেই কৃতিত্ব ভাগ নিতে পারেন দলের ফিল্ডাররাও। ক্রেমারের দারুণ বোলিংয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিংই ম্যাচে রেখেছে জিম্বাবুয়ে। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা ভালোভাবেই নেবে। আগের দিনের সঙ্গে আর ১২ রান যোগ করেই আজ অলআউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। হেরাথ ৩০তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি পাঁচ উইকেটের কীর্তি আছে শুধু হ্যাডলি, ওয়ার্ন, মুরালি ও কুম্বলের।
শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালোই হয়েছিল, দুই ওপেনার করুনারত্নে ও থারাঙ্গা মিলে যোগ করে ফেলেছিলেন ৮৪ রান। কিন্তু তিরিপানোর বলে ২৫ রান করে করুনারত্নে ফিরে যাওয়ার পরেই ছোটখাটো একটা ধস নামে।পরের ৩২ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। দারুণ খেলতে থাকা থারাঙ্গা রান আউট হয়ে যান। তিরিপানোর বলটা ড্রাইভ করেছিলেন চান্ডিমাল, সেটি তিরিপানোর হাতে লেগে যখন স্টাম্প ভেঙে দেয় থারাঙ্গা তখন ক্রিজের বাইরে ছিলেন। ১১ রান করে ক্রেমারের প্রথম শিকার হন মেন্ডিস। দারুণ ক্যাচের জন্য কৃতিত্বটা প্রাপ্য চাকাভারও।
পরে চাকাভা-ক্রেমার যুগলবন্দিতে এসেছে আরও একটি উইকেট, এবার ৫৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন মাত্রই দায়িত্ব পাওয়া অধিনায়ক চান্ডিমাল। সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া অধিনায়ক ম্যাথিউসের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুজন। কিন্তু এবারও আবার ছোট একটা ধস, ২৬ রানের মধ্যে ফিরে যান চান্ডিমাল, ম্যাথিউস ও পেরেরা। ৩৩ রান করে দিলরুয়ান পেরেরাকে আউট করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন ক্রেমার।