জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তৃতীয় দিনশেষে
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৫ ও ৩৪৩/৯ ডিক্লে ( আমলা ৮৭, মঈন আলী ৪/৭৮)
ইংল্যান্ড ২০৫ ০ ১/০
কিছুক্ষণ পর পর স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড যত বড় হচ্ছে, ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজটাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। স্লিপে তাঁর পাশে দাঁড়ানো কুকও মাঝে মাঝে কপালে হাত রেখে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরিস্থিতিটা। শেষ পর্যন্ত পর্বতসমান লক্ষ্য দাঁড় করাল প্রোটিয়ারা। ট্রেন্টব্রিজে জয় পেতে হলে তাই ইতিহাসই গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে।
দ্বিতীয় দিনশেষেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, চতুর্থ ইনিংসে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় দিনের শুরুতে কুনকে ফিরিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। তবে আমলা-এলগার জুটি ম্যাচের লাগাম আফ্রিকার হাতেই এনে দেয়। ১৩৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন, এই প্রথমবার তাঁদের জুটি ১০০ পেরোলো। দুজনের কেউই অবশ্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি। সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে ফিরেছেন এলগার, ১৩ রান দূরে আউট হয়েছেন আমলা। এই টেস্টে দুই ইনিংসেই ৫০ রানের বেশি করলেন আমলা, শেষবার ২০১০ সালে দুবাইতে দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের বোলারদের হতাশার ডুবিয়েছেন ডু প্লেসি ও ফিল্যান্ডারও। আমলার ফেরার পর ডু প্লেসির ৬৩ রান লিডকে ৩৫০ এর ওপর নিয়ে যায়। ব্যাটিং লাইনআপের লেজকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করে লিড ৪৫০ রানের ওপরে নিয়ে যান ফিল্যান্ডার। একই সাথে ম্যাচটাও ধীরে ধীরে স্টোকসদের নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে।
লক্ষ্যটা ৪৭৪। এর আগে কখনোই এত রান তাড়া করে জয় পায়নি ইংল্যান্ড। শেষবার ১৯২৮ সালে এমসিজিতে ৩৩২ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। ট্রেন্ট ব্রিজে সবচেয়ে বেশি রান করে জেতার রেকর্ডটা ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার ২৮৪ রান টপকেছিল ইংলিশরা। রুট-কুকরা কি পারবেন বিশ্বরেকর্ড গড়েই জয় ছিনিয়ে আনতে?