• দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    মহারাজদের কুর্নিশ করলেন রুটরা

    মহারাজদের কুর্নিশ করলেন রুটরা    

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৫ ও ২২ ওভারে ৭৫/১ (এলগার ৩৮*, আমলা ২৩*)
    ইংল্যান্ড ৫১.৫ ওভারে ২০৫ (রুট ৭৮, মহারাজ ৩/২১, মরিস ৩/৩৮)


    ফাফ ডু প্লেসি এখন বলতেই পারেন, ট্রেন্টব্রিজে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি নিয়ে এসেছেন। ডু প্লেসিহীন যে দলকে লর্ডসে মনে হচ্ছিল ছন্নছাড়া, ট্রেন্টব্রিজে তারাই যেন জেগে উঠেছে কোনো এক জাদুমন্ত্রবলে। নটিংহামে দ্বিতীয় দিন শেষেই দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৫ রানে এগিয়ে গেছে, হাতে এখনো উইকেট ৯টি। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, এখানে চতুর্থ ইনিংসে ২৮৪ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের কীর্তি নেই। ইংল্যান্ডকে এখন এই টেস্ট জিততে দুর্দান্ত কিছুই করতে  হবে। 


    সেই দুর্দান্ত কিছু সকালেই করে দেখিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগের দিন পেয়েছিলেন এক উইকেট, আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি চারটাই নিয়েছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার। ৬ উইকেটে ৩০৯ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল প্রোটিয়ারা, আজ বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে মাত্র ২৬ রান।তখন মনে হচ্ছিল, দিনটা ইংল্যান্ডেরই হতে পারে। 


    তবে মেঘলা ট্রেন্টব্রিজে নতুন বলের সুবিধা দারুণভাবে নিলেন ফিল্যান্ডার-মরকেল। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে কুককে উইকেটের পেছনে ডি ককের ক্যাচ বানালেন ফিল্যান্ডার। পরের বলেই ঠিক একই স্ক্রিপ্টের পুনরাবৃত্তি, এবার শুধু শিকার জেনিংস আর শিকারী মরকেল। ইংল্যান্ডের প্রতি আক্রমণের শুরুও হলো সেখান থেকেই। জো রুট ফিফটি পেয়ে গেলেন মাত্র ৪০ বলে, দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাকফুটে। ৮৬ রানে ব্যালান্স ফিরে যাওয়ার পরও রুটের আক্রমণ চলছিলই। কিন্তু ৭৬ বলে ৭৮ রান করে রুট ফিরে যাওয়ার পরেই লাগে মড়ক। 


    স্টোকস ফিরে গেলেন কোনো রান না করেই, ৪৫ রান করে ফিরে গেলেন বেয়ারস্টো। মরিসের একই ওভারে পর পর দুই বলে ফিরে গেলেন মঈন ও ব্রড। ডসন হলেন মহারাজের তৃতীয় শিকার। শেষ পর্যন্ত ২০৫ রানেই অলআউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। 


    দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসের ১৮ রানেই হারান কুনকে। তবে আমলা ও এলগার আর কোনো বিপদ হতে দেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে অবিচ্ছিন্ন ৫৭ রানের জুটিটা কাল অনেকদূরই নিয়ে যেতে চাইবেন দুজন।