বেইরস্টোর সকালের পর অ্যান্ডারসনের বিকেল
দ্বিতীয় দিন শেষে
ইংল্যান্ড ১০৮.৪ ওভারে ৩৬২ (বেইরস্টো ৯৯; রাবাদা ৪/৯১)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৮.৩ ওভারে ২২০/৯ (বাভুমা ৪৬, অ্যান্ডারসন ৪/৩৩)
জনি বেইরস্টো আফসোস করতেই পারেন। সেই ১৯৯৪ সালের পর নিজেদের মাটিতে কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যান ৯৯ রানে আউট হননি। তীরে এসে এমনভাবে তরী ডুববে বেইরস্টো কি সেটি ভেবেছিলেন? তবে দিন শেষে দলের সাফল্যে সেই আক্ষেপ হয়তো অনেকটাই চলে গেছে। ব্যাটিংয়ে বেইরস্টোর পর অ্যান্ডারসনের তোপে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড এখনই এগিয়ে ১৪২ রানে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে আছে মাত্র ১ উইকেট।
অথচ সকালের শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩১২ রানের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ৯ উইকেট। শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসন যখন ক্রিজে এলেন, বেইরস্টো অপরাজিত ৫৪ রানে। সেখান থেকে অ্যান্ডারসনকে নিয়ে শেষ উইকেটে যোগ করলেন আরও ৫০ রান। ৫৩ রানে পাওয়া জীবনটা এর চেয়ে ভালোভাবে বোধ হয় কাজে লাগাতে পারতেন না। কিন্তু আরেকটি টেস্ট সেঞ্চুরি যখন দৃষ্টিসীমায়, তখনই মনযোগের কাঁটা হঠাৎ করে নড়ে গেল। মহারাজের বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন। মাত্র ১ রানের জন্য পেলেন না সেঞ্চুরি।
বেইরস্টোর সঙ্গে পার্শ্বনায়ক হয়ে থাকা অ্যান্ডারসন ঠিক করলেন, বাকি সময়টা নিজের করে নেবেন। ঘরের মাঠে কালই মাত্র একটা প্রান্তের নাম রাখা হয়েছিল তাঁর নামে। সেই প্রান্ত থেকে নতুন বল পেয়েই মাত্র তৃতীয় ওভারেই এলবিডব্লু করলেন এলগারকে। দারুণ খেলতে থাকা আমলা আউট হলেন রোল্যান্ড-জোন্সের বলে, কুনও টিকলেন না বেশিক্ষণ।
এরপর মঞ্চে আবার অ্যান্ডারসন, দুই বলের মধ্যে তুলে নিলেন থিতু হতে থাকা বাভুমা ও ডু প্লেসিকে। এরপর ডি ব্রুইনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে নিলেন চতুর্থ উইকেট। ডি কককে ফিরিয়ে দিলেন ব্রড, নবম উইকেটে এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেন রাবাদা- মরকেল। কিন্তু ব্রডের বলে স্টোকসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইংল্যান্ডের শেষটাও হলো স্বপ্নের মতো। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখন সিরিজে ফিরতে হলে করতে হবে দুর্দান্ত কিছুই।