'আমার সমস্যার সমাধান আমাকেই বের করতে হবে'
ত্রিদেশীয় সিরিজটা দারুণ কেটেছিল, সৌম্য সরকারের ব্যাটে তখন পুরনো ফর্মের ছায়া। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই আবার খেই হারিয়ে ফেললেন, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এক হাজার রানের অপেক্ষা তাই ফুরোল না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বেশ কিছুটা অবসর মিলেছে নিজের সমস্যা নিয়ে কাজ করার। আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে সৌম্য জানিয়েছেন, নিজের ধরনেই খুঁজতে চান সমাধান। সেই সাথে জানিয়ে দিলেন, সুযোগ পেলে আস্থার প্রতিদান দিতে চান বোলিংয়েও।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার ম্যাচে সৌম্য করেছেন মোট ৩৪। অথচ তার আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজে দুইটি ফিফটি করেছিলেন। সৌম্যও মানলেন, কিছু একটা গড়বড় হয়েছিল। তবে বাইরের কারও সাহায্য নয়, নিজের পদ্ধতিতেই সমাধান খুঁজে বের করতে চান, ‘কাজ করে যেতেই হবে। একদিন ভালো করছি, আরেকদিন হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খারাপ করেছি। তার আগের সিরিজটা আবার ভালো করেছি। সবাই হয়ত বলছে, আমি সবার কথা শুনছি না। আমার সমস্যার সমাধান আমাকেই বের করতে হবে। অনেকেই অনেক কথা বলবে, কোনটা আমার জন্য ঠিক সেটাই জানার চেষ্টা করছি।’
সৌম্য মনে করিয়ে দিলেন, আউটের ধরনটা একই ধরনের নয়। তার মানে সমস্যা আসলে ঠিক টেকনিকে নয়, ‘একই আউট হলে বোঝা যেত আমার টেকনিকে সমস্যা আছে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমি চাচ্ছি না নিজের খেলা বদলাতে।’
প্রশ্ন উঠল বোলার সৌম্যকে নিয়েও। একটা সময় বোলার পরিচয়টা সামনে থাকলেও জাতীয় দলে অভিষেকের পর সেটি চলে গেছে আড়ালে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত টেস্টেই শুধু এক উইকেট পেয়েছেন। সৌম্য মনে করিয়ে দিলেন, অনুশীলনে নিয়মিতই বল করছেন, ‘অনেক দিন ধরেই সবাই হয়তো দেখেছেন, আমি নেটে রেগুলার বল করি। আগে এক-দুইজন পেসার খেলত, এখন তিনজন পেস বোলার খেলে। আমাদের দেশে তো আগে স্পিনারই বেশি ছিল। চার নাম্বার পেসার এসে ওই সময় কন্টিনিউ করা একটা আলাদা বিষয়। আমাকে আগে অনুশীলন করতে হবে, নিজেকে তৈরি করতে হবে। আমাকে আগে প্রমাণ করতে হবে। সেটা আমি এখনো করতে পারি নি। এটাই এখন আমার চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক যদি মনে করে আমাকে কাজে লাগানো দরকার, তখন আমি বল করব।’