'টানা খেলার সঙ্গে কন্ডিশনই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ'
জাতীয় দলে অভিষেকের বছর দুয়েক হয়েছে। তবে সেভাবে কোনো সফরে কোনো দলকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি। বিসিবি এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে সেই অভিজ্ঞতাও হয়ে গেছে লিটন কুমার দাশের। অস্ট্রেলিয়া থেকে সেটিই সবিস্তারে জানালেন এই ব্যাটসম্যান। জানালেন, আপাতত জাতীয় দল নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না।
অধিনায়ক হিসেবে লিটনের প্রথম অভিজ্ঞতাটা ফলের দিক দিয়ে নিখুঁতই ছিল, সফরের সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে বিসিবি এইচপি দল। লিটনও জানালেন, দায়িত্বটা উপভোগ করেছেন, ‘খুব ভালো একটি অভিজ্ঞতা ছিল। খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় খেলি। এবার একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল, অধিনায়কত্ব করা। এটা মজার একটি বিষয়। আমি এবার এটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।’
কিন্তু অচেনা কন্ডিশনে এইচপি দলের চ্যালেঞ্জটা কেমন ছিল? লিটন ব্যাখ্যা করলেন, ‘সাধারণত আপনি যখন বড় কোনো টু্র্নামেন্ট কিংবা সিরিজ খেলতে যান তাহলে প্রস্তুতির অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা এবার ওরকম কিছু পাইনি। যেহেতু আমরা ১৬ ঘন্টা একটা ট্রানজিটে ছিলাম। পানি-টানি সেভাবে খাওয়া হয়নি। ডি হাইড্রেশন হয়েছিল কম-বেশি সবার। ওখানে যাওয়ার পর প্রথমেই হার্ড সেশন অনুশীলন হয়েছে। এর পরেরদিন খেলা খুব কঠিন। এছাড়া আমরা খুব টানা ক্রিকেট খেলেছি। তিন দিন খেলেছি, মাঝে একদিন বিরতি। আবার এক দিন খেলার পরেই বিরতি। বিকেএসপির মাঠে খেলা হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। মাঠ গুলো ছোট ছোট। ওখানে অনেকগুলো বড় মাঠ। শট খেলা নিয়েও একটা দ্বিধা কাজ করে। আবার বাতাসও আছে, সেটা কখনো আপনার পক্ষে যাবে, কখনো বিপক্ষে। এ জিনিসগুলো খাপ খাওয়ানোর বিষয় ছিল।’
কিন্তু প্রতিপক্ষ নর্দার্ন টেরিটরি দলের মান কেমন ছিল? লিটন জানালেন, প্রথম দুই-তিন ম্যাচে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের মান তো অনেক উঁচুতে ছিল। ওখানে হয়ত অমন পর্যায়ে কেউ ছিল না। বিগ ব্যাশ বলেন না অন্য …. যারা চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় তারা কেউই খেলতে পারছিল না। নর্দান টেরিটরি ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কিছু ভালো খেলোয়াড় ছিল। আমাদের সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটেও খেলেছিল। ওভারঅল পাঁচ-ছয়জন খুব ভালো ভালো খেলোয়াড় ছিল।
ফলের চেয়ে শেখাটাই বড় প্রাপ্তি মানছেন লিটন, ‘এখান থেকে গিয়েছিলাম কিছু শেখার জন্য। আবহাওয়া কেমন, উইকেটটা কেমন। আমার মনযোগ ছিল এখানেই। সবারই কম-বেশি এটাই লক্ষ্য ছিল।’
শ্রীলঙ্কা সফরে চোটে ছিটকে পড়ার পর জাতীয় দলের হয়ে আর খেলা হয়নি। আপাতত সেই ভাবনা এক পাশে সরিয়েই রাখছেন, আসলে জাতীয় দল নিয়ে আমার মাথায় এখন কোনো কিছু নেই। আমি গিয়েছিলাম এইচপির হয়ে। ওখানে শেখাটাই ছিল আসল কথা।’
তবে নিজের ব্যাটিং নিয়ে একটু অতৃপ্তি আছে, ‘আমার ব্যাটিংয়ে আরেকটু ভালো করার জায়গা ছিল।কিন্তু সেটা হয়নি। ফর্ম সব সময় থাকে না। কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে ছিল না।
সামনেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। পরে আবার বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এইচপির অভিজ্ঞতা লিটন নিশ্চয়ই সেখানে কাজে লাগাতে চাইবেন!