আরও অনিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর
সময় ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশ সফরের জন্য ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা আগস্টের ১০ তারিখ। এর মাঝেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া(সিএ) ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন(এসিএ) এর মধ্যকার সমঝোতার চেষ্টায় চলা সপ্তাহব্যাপী আলোচনাও প্রায় ভেস্তে গেছে।
বাংলাদেশ সফর নিয়েও তাই মিশ্র সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। সিএ ও এসিএর মিলিত পর্যবেক্ষক কমিটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসবে ২৪ জুলাই। তবে বিসিবিকে সফর বাতিল হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতও থাকতে বলা হতে পারে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সফরের ব্যাপারে যেমন জানানো হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড ও এসিএর প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসনের আলোচনা চলেছে ধীরগতিতেই। সিএ চায় আগের সমঝোতা স্মারক থেকে সরে আসতে, এসিএর দাবি বহাল থাকুক সেটাই। মাঝামাঝি কোনো অবস্থায় পৌঁছানোটাই ছিল মূল লক্ষ্য। তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সহযোগী সব প্রতিষ্ঠানের দিক থেকেও ধেয়ে আসছে চাপ। সামনের গ্রীষ্মের অ্যাশেজের আগে ম্যাগেলান নামের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা, সমঝোতা স্মারক না হওয়াই অনিশ্চিয়তাই পড়েছে সেটা। সিএর ব্রডকাস্টিং সহযোগী চ্যানেল নাইন ও টেন নেটওয়ার্কের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে তাই। আগস্টের ১৫ তারিখের মধ্যে চলতি সমস্যার সমাধান না হলে ভেঙে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বাণিজ্যিক কাঠামোই।
এসিএ অবশ্য প্রকাশ্যে দরকষাকষির ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হয়নি। তবে সমাধানে পৌঁছুতে এখন সময় লাগবে বেশিই। জুলাইয়ের ১ তারিখে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্যত বেকার হয়ে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ২৩০ জন ক্রিকেটারেরও বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মেয়ে ক্রিকেটাররা, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বাদ পড়েছেন তারা। এর আগে তাদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি চুক্তি করা হয়েছিল, টুর্নামেন্টটি শেষ করে আসার ব্যাপারে।