• এএফসি কাপ
  • " />

     

    এগিয়ে গিয়েও বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

    এগিয়ে গিয়েও বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ    

    জর্ডানের সাথে আগের ম্যাচেই ৭-০ গোলের লজ্জায় ডুবতে হয়েছিল। তাজিকিস্তান অতটা শক্তিশালী নয়, ড্র করতে পারাটাই হতো বড় অর্জন। অথচ প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দলের দিগন্তে জয়ের স্বপ্ন, এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গল্পটা স্বপ্নভঙ্গেরই, দুঃস্বপ্নের এক দ্বিতীয়ার্ধ শেষে এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ বাছাইপর্বের ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরে গেল ৩-১ গোলে।

    ফিলিস্তিনের হেব্রনে ম্যাচের শুরু থেকেই তাজিকিস্তান বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তারাই ম্যাচে ছড়ি ঘোরাবে। ২১ মিনিটের মাথায় দারুণ একটা সুযোগও পেয়েছিল, কিন্তু সে যাত্রা বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। বক্সের বাইরে থেকে করা শট তাজিকিস্তানের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে এসে পড়ে সোহেল মিয়ার পায়ে। ফাঁকা পোস্টে সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি সোহেল। প্রথমার্ধে এরপর চেষ্টা করেও তাজিকিস্তান গোল করতে পারেনি।

    কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তারা চেপে বসতে থাকা। ৫৪ মিনিটের গোলটা অবশ্য অনেকটা অপরিকল্পিত আক্রমণের ফসল। হুট করে বাংলাদেশের বক্সের ভেতর এসে পড়া বলটা ভুল বোঝাবুঝিতে ক্লিয়ার করতে পারেননি গোলরক্ষক-ডিফেন্ডারদের কেউ। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি সাফারভ আমির্দজন।

    গোল শোধ করেই এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে তাজিকিস্তান। ৬৬ মিনিটে গোলটা পেয়েই গিয়েছিল, কিন্তু দূরপাল্লার শটটা আনিসুরের হাতে লেগে পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। কিন্তু এক মিনিট পরেই আনিসুরের ভুলেই পেনাল্টি পায় তাজিকিস্তান। বক্সের ভেতর তাজিকিস্তানের খেলোয়াড়কে ফেলে দিলে রেফারি বাঁশি বাজান। বারবাদজানভের পেনাল্টি ঠেকিয়েও দিয়েছিলেন আনিসুর, কিন্তু ফিরতি শট ঠেকাতে পারেননি। ৮৭ মিনিটে জুরাবায়েভের গোল বাংলাদেশের কফিনে ঠুকে দেয় শেষ পেরেক।