• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ওয়ালশের ক্লাসে রাব্বিরা যা শিখছেন

    ওয়ালশের ক্লাসে রাব্বিরা যা শিখছেন    

    বেশ কয়েক দিন ধরেই কোর্টনি ওয়ালশ নিবিড়ভাবে কাজ করছেন ছাত্রদের নিয়ে। দ্রোণাচার্যের মতো ওয়ালশ হাতে কলমে দেখিয়ে দিচ্ছেন কখন কোন তূণ ব্যবহার করতে হবে, আর মুস্তাফিজ-তাসকিনরা মনযোগী ছাত্রদের মতো শুনছেন সেসব। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়েও এই কয়দিন আলাদা করে কাজ করেছেন ওয়ালশ। আজ মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে রাব্বি সেসবই জানালেন।

    বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত শুধু পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন রাব্বি। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরের পর অবশ্য আর দেশের হয়ে সাদা পোশাকে খেলা হয়নি। রাব্বি অবশ্য কন্ডিশনিং ক্যাম্পে আছেন। জানিয়েছেন, আপাতত ওয়ালশের কাছ থেকে স্পট বোলিংটাই শিখছেন, ‘ও এখন আমাদের স্পট বোলিং নিয়ে কাজ করছে। কন্ডিশন ক্যাম্পের পর ফুল রিদমে এখনো বোলিং শুরু করা হয়নি।  স্পট বোলিং নিয়ে আপাতত কাজটা শুরু করেছি।’

    কিন্তু ওয়ালশ থেকে আসলে কতটা শিখতে পারছন পেসাররা? রাব্বি ব্যাখ্যা করলেন, ‘আমাদের টেকনিক্যাল বলেন মানসিক ভাবে বলেই সব ক্ষেত্রেই আমারা উপকৃত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। এইজন্য কাজ করতে আমাদের সুবিধাই হয়।’

    আলাদা করে বললেন বোলিংয়ে ভারসাম্যের কথা, ‘নির্দিষ্ট করে বললে আমার ব্যালেন্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। অনেকদিন ধরেই ক্রিকেট খেলছি, কম বেশি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই জানেন তাদের কি করতে হবে। এখানে কোচ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন আত্মবিশ্বাস যুগিয়ে। তিনি একজন কিংবদন্তি। তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি।’

    জুনিয়রদের জন্য ওয়ালশের টোটকা বেশি কাজে আসে বলে জানিয়েছেন রাব্বি, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আত্মবিশ্বাস যোগানোর খুব একটা প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের মতো জুনিয়রদের জন্য কোচের দেওয়া আত্মবিশ্বাস ভালো খেলতে খুবই ভূমিকা রাখে।’

    কিন্তু নিজের বোলিংয়ের ধার কি আগের চেয়ে বেড়েছে? এবার রাব্বি আরেকটু নির্দিষ্ট করেই বললেন, ‘আগে ইনসুইং পারতাম না, এখন পারি। আমি এখন যে জিনিসগুলো জানি সেইসব জিনিসগুলো আরও নিখুত করতে চাই। আপাতত আমার লক্ষ্য এটাই।’

    জাতীয় দলে এখন পেসারদের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা। মাশরাফি, মুস্তাফিজ, তাসকিন, শফিউল, রুবেল, আল আমিনরা আছেন ক্যাম্পে। রাব্বি এই প্রতিযোগিতা দেখছেন ইতিবাচকভাবেই, ‘আমি সব সময়ই শেখার চেষ্টা করি। এখানে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও বন্ধুত্বও আছে। যা থাকে সেটা স্বাস্থ্যবান প্রতিযোগিতা।’