আইকনদের দায়িত্ব নেবে না বিসিবি
আট আইকনকে নিয়ে নিজেদের চিন্তাটা এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং বডির মহাসচিব ইসমাইল হায়দার। তাঁদের জন্য আলাদা করে কোনো অঙ্ক বেঁধে দেয়নি কাউন্সিল, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে দর কষাকষি করেই নিজেদের বেতনটা ঠিক করে নেবে। আজ সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হায়দার আবারও জানালেন, আট ক্রিকেটারদের দেনাপাওনা বুঝে পাওয়ার দায়ভার নেবে না কাউন্সিল।
বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বেতন ভাতা নিয়ে প্রথম তিন আসরেই অভিযোগ করেছিলেন খেলোয়াড়েরা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছিল, কেউ টাকা না পেলে বিসিবি অন্তত ৬০ ভাগ অর্থ দেওয়ার দায়িত্ব নেবে। গত বার অবশ্য টাকা না পাওয়ার অভিযোগ খুব একটা আসেনি। বিসিবি থেকে এবারও খেলোয়াড়দের পাওনা টাকা বুঝে পাওয়ার সেই দায়িত্বটা নেওয়া হচ্ছে। আজ ইসমাইল হায়দার মল্লিক সেটি নিশ্চিত করেছেন।
তবে আট আইকনের ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য হবে না বলেও জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার। গত আসর থেকে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা মিলে ঠিক করেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কথা বলে তারা নিজেরাই দল ঠিক করে নেবেন। সেই লেনদেনে কাউন্সিল এবারও মাথা ঘামাবে না বলে জানিয়েছেন মহাসচিব,
গত বছর জাতীয় দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা বোর্ড সভাপতির কাছে দেখা করে দাবি করেছিল, ওরা মনে করে ওদের দামটা ফিক্স না করে দিয়ে, নিজের ইচ্ছামতো বেছে নিতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এটা অবশ্যই ভালো একটা অঙ্ক হবে, সেটা খুব একটা কম না। দুই পক্ষই এটা ঠিক করবে। কিন্তু আইকনদের টাকা পাওয়ার দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি না। বাকি যেসব খেলোয়াড়েরা আছেন, তাদের দায়িত্ব আমরা নেব।’
শুধু আইকন নন, ড্রাফটের বাইরে থাকা যেসব বিদেশীকে এর মধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দলে টেনে নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার, ‘ড্রাফটের বাইরেও অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছে, তাদের দায়িত্ব আমরা নেব না। আইকনদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যেহেতু ওরা নিজেরাই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বোঝাপড়া করবে, সেটা তাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার।’