বাংলাদেশে আসতে মরিয়া স্মিথরা
উৎকন্ঠা শুধু বাড়ছেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার সহ বাংলাদেশ সফরের দলে থাকা সব ক্রিকেটারই নিজেদের মাঝে কথা বলছেন, কথা বলছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন, এসিএর সঙ্গে। তাদের আগ্রহের বিষয় একটিই, বোর্ডের সঙ্গে অর্থনৈতিক ঝামেলার কতোখানি অগ্রগতি হলো। সামনেই বাংলাদেশ সফর, শুরু হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মও। স্মিথরা মিস করতে চান না কোনোটিই।
সপ্তাহখানেক ধরে চলা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা নিয়ে তাদের অবহিত করা হয়েছে। এসিএর প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসনের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের আলোচনায় ‘শান্তি-পরিকল্পনা’ দিয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন। রবিবার সাক্ষাতে আলোচনার পর ফোনেও কয়েকবার কথা বলেছেন দুই নির্বাহী।
‘ক্রিকেটাররা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তৃণমূল ক্রিকেটের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। রাজ্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে নারী সহকর্মীদের পাশে থাকতেও তারা ঐক্যবদ্ধ’, এসিএর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন এমন।গত ২ জুলাই এসিএর সভায় নতুন সমঝোতা স্মারকের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। ২৩০ জন ক্রিকেটার বেকার হয়ে গেছেন, সঙ্গে এগিয়ে আসছে সফর ও দেশের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমও।
‘বাংলাদেশ ও ভারত সফরে যাওয়ার ব্যাপারে ক্রিকেটাররা মরিয়া। এজন্য যৌক্তিক শর্তের নতুন সমঝোতা স্মারক এনে সিএকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন তারা।’ এসিএর এক সমাধানপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘সমঝোতা স্মারক না হলে বেকার হয়ে যাওয়া ক্রিকেটাররা সফরে যেতে বাধ্য নন।’
শুধু বাংলাদেশ সফর নয়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সহযোগীদের ডেডলাইনও ঘনিয়ে আসছে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের আগেই তাই সমাধানে আসতে হবে দুই পক্ষকে। ১০ তারিখ থেকে ডারউইনে বাংলাদেশ সফরের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা, ১৮ তারিখ দেশ ছাড়ার কথা তাদের। এ সময়ের মাঝেই সিএর ব্রডকাস্টিং সহযোগী চ্যানেল নাইন ও টেন নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন ছাড়ার শেষ সুযোগ।
এদিকে ২৪ জুলাই কথা থাকলেও একদিন পিছিয়ে ২৫ তারিখে বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসবে সিএর প্রতিনিধি দল। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সফরের জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। সফর বাতিলের ব্যাপারেও অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড থেকে কিছু জানানো হয়নি তাদের।