বিসিবির ক্ষমতা বিসিবির হাতেই
অনেক দিন ধরেই বিসিবির জন্য গলার কাঁটা হয়ে ছিল রায়টি। সেই চার বছর আগে বিসিবির গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। পরে বিসিবি সেটার বিরুদ্ধে আপিল করে। আজ সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন বৈধ। তার মানে, এখন থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির গঠনতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিসিবির সিদ্ধান্ত থাকবে তাদের হাতেই।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর পরদিন ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও বিসিবি। ওই দিনই বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে এ স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।
আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিংহের তিন সদস্যের আপিল বিভাগ ক্রীড়া পরিষদের অধিকার বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। পরে মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছেন, এই রায় যুগান্তকারীই হয়েছে, ‘রায় নিয়ে এখনই কিছু বলাটা কঠিন। রায়ের কপি এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যতটুকু জেনেছি, যতটুকু বুঝেছি অবশ্যই মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো একটা রায় হয়েছে। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের যত দ্রুত সম্ভব এজিএম, ডাকতে হবে। গঠনতন্ত্র নিয়ে কোনো পরিবর্তন করতে হলে সেটা আমরাই করতে পারব। আগের গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচন করতে হলে সেটা খুবই ঝামেলা হতো। আইসিসিও সেটা মানত না।‘
সামনের বোর্ড মিটিংয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে, তেমন আভাস দিয়ে রাখলেন বিসিবি সভাপতি, ‘রায় পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে ফেলব। ৩০ তারিখ আমরা বোর্ড মিটিং ডেকেছি। সেখানেই আমরা ভেন্যু, তারিখ চূড়ান্ত করব। কিন্তু সেটা রায়ের কপি পাওয়ার পরেই।’