রোনালদো, রামোসহীন রিয়ালকে উড়িয়ে দিল সিটি
প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয় খুব বড় পরাজয় নয়। প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি মানে তো সব খেলোয়াড়কে ঝালিয়ে নেওয়ার একটা উপলক্ষ্যই। তার ওপর রোনালদো, রামোস, ক্রুসদের মতো খেলোয়াড়েরা ছিলেন বিশ্রামে। তারপরও লস অ্যাঞ্জেলসের মেমোরিয়াল কলোসামের রিয়ালের জন্য গলা ফাটাতে আসা হাজার হাজার সমর্থক হতাশই হয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির কাছে যে ম্যাচটা ৪-১ গোলে হেরে গেছে রিয়াল!
মাত্রই ১৪০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তিনজন ফুলব্যাক কিনেছেন পেপ গার্দিওলা। তাঁদের মধ্যে ওয়াকার ও দানিলো আজ মাঠে নেমেছিলেন। তবে সিটির দুই গোল করেছেন দুই সেন্টারব্যাক। তার আগে অবশ্য ম্যাচের শুরুতে সুযোগ পেয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও সার্জিও আগুয়েরো। দুজনের শটই দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। বেনজেমা ও মদ্রিচও পরীক্ষায় ফেলেছিলেন সিটি গোলরক্ষক এডারসনকে। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও দুই দলের কেউই গোল পায়নি।
তবে ম্যাচের ছক উল্টে যায় দ্বিতীয়ার্ধে এসে। ৫২ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় সিটি। নাভাস অবশ্য উঠে গেছেন ততক্ষণে, গোলপোস্টে তখন কিকো কাসিয়া। কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ওটামেন্ডি। ৫৯ মিনিটেই আগের গোলের কারিগর কেভিন ডি ব্রুইন আবারও উৎস। এবার তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন স্টার্লিং। ৬৭ মিনিটে সিটির তৃতীয় গোলেও অবদান ছিল ডি ব্রুইনের, এবার ডান পায়ের শটে গোল করেছেন জন স্টোনস। তবে ম্যাচে সিটির হয়ে সেরা গোলটি তরুণ মিডফিল্ডার ব্রাহিম ডিয়াজের করা। ২০ গজ দূর থেকে গোল করে ৮১ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন। ম্যাচের সেরা গোলটা অবশ্য এরপর করেছেন রিয়ালের তরুণ মিডফিল্ডার অস্কার রদ্রিগেজ। ৩৫ গজ দূর থেকে দারুণ এক শটে গোল করে রিয়ালকে এনে দিয়েছেন আনন্দের উপলক্ষ। এই ম্যাচ থেকে সেটিই একমাত্র পাওনা ধরে নিতে পারেন জিদান। আর তরুণ ডিয়াজের ওপর আলাদা করে চোখ থাকার কথা গার্দিওলার।