বৃষ্টিই পারে শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাতে
স্কোর
তৃতীয় দিন শেষে
ভারত ৬০০ ও ১৮৯/৩ (মুকুন্দ ৮১, কোহলি ৭৬)
শ্রীলঙ্কা ২৯১
কদিন আগেই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৩৮৮ রান করে ইতিহাস গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে গল টেস্ট জিততে হলে তার চেয়েও অনেক বড় কীর্তি গড়তে হবে শ্রীলঙ্কাকে। তৃতীয় দিন শেষে এর মধ্যেই লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেছে ৪৯৮, আরও সামনে আছে দুই দিন। বৃষ্টিই এখন পারে স্বাগতিকদের এই টেস্টে হার থেকে বাঁচাতে।
আগের দিনই বোঝা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার সামনে কঠিন একটা দিন অপেক্ষা করছে। তার ওপর আসেলা গুনারত্নের চোটে ব্যাটসম্যান একজন এমনিতেই কমে গিয়েছিল। সেই অভাবটা পূরণ করতে দিলরুয়ান পেরেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, শেষ পর্যন্ত তারপরও ব্যবধান অনেক বেশি ছিল। ২৯১ রানে অলআউট হওয়ারে সময় ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৩০৯ রান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত ১৮৯ রান তুলে নিয়েছে তিন উইকেট হারিয়েই।
সকালের শুরুটা খারাপ হয়নি শ্রীলঙ্কার, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সেঞ্চুরির সুবাসও পাচ্ছিলেন। কিন্তু আগের দিনের সঙ্গে ১৯ রান যোগ করার পর জাদেজার বলে ক্যাচ তুলে দিলেন কভারে।
শ্রীলঙ্কার তখন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই আর কেউ, যা একটু ব্যাট করতে পারেন দিলরুয়ান পেরেরাই। টেল এন্ডারদের নিয়ে সেখান থেকেই শুরু করলেন প্রতি আক্রমণ।
হেরাথ ও নুয়ান প্রদীপের সঙ্গে এরপর ৩৬ ও ৩৯ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী দুইটি জুটিতে রানের চাকা চালু রেখেছিলেন। পেরেরা সুযোগ পেলেই আক্রমণ করছিলেন, ৯০ রানেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি থেকে আট রান দূরেই থেমে যেতে হয়েছে।
ভারত ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হারিয়ে ফেলে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ানকে। ১৪ করেছেন ধাওয়ান, আর প্রথম ইনিংসের আরেক সেঞ্চুরিয়ান পূজারা করেছেন ১৫ রান বেশি। এরপর বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা। তবে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতাটা ভোলানোর উপলক্ষ কাজে লাগিয়েছেন অভিনব মুকুন্দ ও বিরাট কোহলির। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ১৩৩ রানে জুটিটা আজ পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮১ রানে আউট হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি অধরাই থেকে গেছে তাঁর।