• ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    স্টোকস-জোনসে দিশেহারা দক্ষিণ আফ্রিকা

    স্টোকস-জোনসে দিশেহারা দক্ষিণ আফ্রিকা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর 

    দ্বিতীয় দিনশেষে

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৬/৮ (বাভুমা ৩৪*, জোনস ৪/৩৯)

    ইংল্যান্ড ৩৫৩ (স্টোকস ১১২, মরকেল ৩/৭০)


     

    দিনের খেলা শেষে মাঠ ছাড়ছে দুই দল। অভিষেক হওয়া রোল্যান্ড জোনসকে ঘিরে রুট-স্টোকসের খুনসুটি এবং প্রোটিয়া ড্রেসিংরুমে ডু প্লেসির হতাশ করা চাহনিই বলে দিচ্ছিল ম্যাচের পরিস্থিতি। স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও জোনসের বোলিং তোপে ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

     

    গতির ঝড় ও নিখুঁত লাইন-লেন্থ, ওভালে জোনস যেন হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা কোনো কূল কিনারাই খুঁজে পাননি কাল। একে একে তুলে নেন প্রতিপক্ষের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে। ১৬ ওভারেই মাত্র ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা তখন দিশেহারা। ঠিক পরের ওভারেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ফেরেন ডু প্লেসিও। ১৪ রানের মাঝে আরও দুই উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল, ১০০ রানই হয়তো পেরোতে পারবে না দল।

     

     

    টেম্বা বাভুমা ও কাগিসো রাবাদার প্রতিরোধে খানিকটা স্বস্তি পায় আফ্রিকা। দুজনের ৫৫ রানের জুটির কল্যাণে ১০০ পেরোয় দল। ব্রডের দারুন এক বলে ৩০ রান করা রাবাদা ফিরলেও ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন বাভুমা।

     

    দিনের শুরুটা কিন্তু ভালোই হয়েছিল ডু প্লেসিদের। গতদিনের দারুণ ইনিংসটি খুব বেশিদূর নিতে পারেননি কুক। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতেই মরকেলের বলে ফেরেন তিনি। কিন্তু অসুস্থতার জন্য ফিল্যান্ডার মাঠ ছাড়ার পরেই খেই হারিয়ে ফেলে আফ্রিকার বোলিং। গতদিনের ধারেকাছেও যেতে পারেননি রাবাদারা।

     

     

    ওই সময়ে স্টোকসের দারুন এক সেঞ্চুরিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় ইংল্যান্ড। বেইরস্টোকে সাথে নিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলের রান ৩০০ এর ওপরে নিয়ে যান। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের সামনে পাত্তাই পাননি কোনো বোলার। অন্য প্রান্তে শেষের দিকে রোল্যান্ডের ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস মন জুড়িয়েছে দর্শকের।