ওভালে জয়ের সুবাস পাচ্ছে ইংল্যান্ড
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চতুর্থ দিনশেষে
ইংল্যান্ড ৩৫৩ ও ৩১৩/৮ডিক্লে
দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৭/৪ ( এলগার ৭২*, স্টোকস ২/২৯)
সামনে পর্বতসমান লক্ষ্য। এদিকে ৫২ রানের মাঝেই পড়ে গেছে দলের ৪ উইকেট। এসবের মাঝেও জোনস-স্টোকসের আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ের বিরুদ্ধে একাই বুক চিতিয়ে লড়ছেন ডিন এলগার। ওভালে চতুর্থ দিনশেষে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে অনেকটাই জয়ের সুবাস পাচ্ছে রুটরা।
গতদিন বৃষ্টির কারণে লিডটা বাড়ানো হয়নি। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই দাপটের সাথে ব্যাট করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। জেনিংস, ওয়েস্টলি, রুট; রান পেয়েছেন টপ অর্ডারের সবাই। টানা ৯ম টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রুট। লিড বাড়ার সাথে সাথে ডু প্লেসির কপালে চিন্তার ভাঁজও তত স্পষ্ট হচ্ছিল। কিছুতেই রানের গতি মন্থর করতে পারেননি রাবাদা-মরকেলরা।
মহারাজের জোড়া আঘাতে ১০ রানের ব্যবধানে রুট-ওয়েস্টলি ফিরলেও স্বস্তি ফেরেনি প্রোটিয়া দলে। স্টোকস-বেইরস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা অনেকটাই নাগালের বাইরে চলে যায় আমলাদের। ৫৬ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেইরস্টো। প্রথম ইনিংসের মতো শেষের দিকে মারকুটে ব্যাটিং করেছেন রোল্যান্ড জোনসও।
৪৯২ রনের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ রানেই পড়ে প্রথম উইকেট, গত ৬ টেস্টে উদ্বোধনী জুটির গড় রান মাত্র ১৩। ১৭ ওভারের মাঝেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট, রান তখন মাত্র ৫০ পেরিয়েছে।
আগের ইনিংসের মতো এবারো ব্যর্থ আমলা, ডি কক ও ডু প্লেসি। ডি কক ও ডু প্লেসিকে পরপর দুই বলে ফেরান স্টোকস। একপ্রান্ত আগলে রেখে বিপর্যয় সামলেছেন এলগারই। প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রান পাওয়া বাভুমাও ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁকে। দুজন মিলে দিনের শেষ ২০ ওভার দেখে শুনেই পার করেছেন। এই জুটি পঞ্চম দিনে প্রতিরোধ গড়ে ম্যাচ বাঁচাবেন, এই আশাতেই হয়তো আছেন ডু প্লেসিরা।