অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কোচের লক্ষ্য বিশ্বকাপেও
অস্ট্রেলিয়া আসবে কিনা, সেটা এখন শুধু ‘তাদের ব্যাপার’ই হয়ে গেছে। তবে অস্ট্রেলিয়াকে সামনে রেখে প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়ার জন্যও লড়াইটা সহজ হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শুধু তাই নয়, অজিদের সঙ্গেও বাংলাদেশ খেলবে জেতা জন্যই, ‘আমরা টেস্টে উন্নতি করেছি। উপমহাদেশে জেতার মতো গেম-প্ল্যান আছে এখন আমাদের। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুইটি টেস্টই আমরা জিততে চাই। আমরা এখানে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল।’
অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। কোচের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই, ‘চ্যালেঞ্জটা আসবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। অপরিচিত জায়গা, সেখানে কতোটুকু ভাল করতে পারছি, আমাদের সেটাই দেখতে হবে। তারা এক নম্বর টেস্ট দল, সেটা তো আর এমনি এমনি না। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া, তারপর গেম-প্ল্যানকে কাজে লাগানো। সেখানে প্রথম টেস্টের আগের দুই সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে(অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে) আমাদের দৃষ্টি জয়ের দিকে।’
হাথুরুসিংহের সেই দৃষ্টি অবশ্য আরও অনেকদূরে, ওয়ানডের ক্ষেত্রে। গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল, সাফল্য কম নেই। তবে কোচ তাকাতে চান ২০১৯ বিশ্বকাপের দিকে, ‘আমরা বড় পরিসরে তাকাচ্ছি। ২০ জনের মতো ক্রিকেটারকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি সে পরিকল্পনায়। আমাদের প্রধান দৃষ্টি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের দিকে, অন্তত আমার জন্য সেটাই। এসব ক্রিকেটারদের ‘হাই ইনটেনসিটি’তে খেলার জন্য অভ্যস্থ হতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটে খেললে ব্যাপারগুলো তেমন প্রবল থাকে না। জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করলে তারা নিজেদের চ্যালেঞ্জগুলো বুঝতে পারবে, কিভাবে দলে ঢুকতে হবে।’
‘দরকার পড়লে আমরা পুল বিস্তৃত করবো। কেউ যদি এগিয়ে আসে, যে হ্যাঁ, সে খেলার জন্য প্রস্তুত, তাকেও আমরা নিয়ে আসবো। কেউ সহজেই জায়গা ধরে রাখুক, আমরা এটা চাই না।’
সেই চ্যালেঞ্জিং দল নিয়ে হাথুরুসিংহের প্রধান লক্ষ্য জয়ের দিকেই, ‘ওপরের সারির দলকে হারানো, দেশের বাইরে জেতা। আমাদের এখন সেটাই করতে হবে। সাফল্য ধরে রাখতে হবে। আমরা বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছি। উপমহাদেশে জিততে শুরু করেছি। আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। ধারাবাহিকতায় ঘাটতি আছে আমাদের।’
সেই ঘাটতিটা পূর্ণ হলেই নিশ্চয়ই পূর্ণ হবে কোচের লক্ষ্য, কোচের চাওয়া!