• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    '২৪-৪৮ ঘন্টার মাঝেই হতে পারে সমাধান'

    '২৪-৪৮ ঘন্টার মাঝেই হতে পারে সমাধান'    

    ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া(সিএ) ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন(এসিএ) এর মধ্যে আলোচনায় প্রত্যাশিত সমাধান আসেনি এখনও। তবে দুই পক্ষের মাঝে বোঝাবুঝিতে ‘উন্নতি’ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার বলছেন, ২৪-৪৮ ঘন্টার মাঝেই আসতে পারে সমাধান। 
     

    আলোচনা মূল বিষয়গুলোর বেশিরভাগেরই সমাধান হলেও অস্ট্রেলিয়া সময় বুধবার রাত পর্যন্ত আসেনি কোনও ঘোষণা। একটা সমঝোতায় আসতে চাইছে দুই পক্ষই, সেটা স্বাক্ষর হতে পারে বৃহস্পতিবারেই। সমঝোতাটি হলে বাংলাদেশ সফরটাও হতে পারে ঠিকঠাক। ওয়ার্নাররা চাইছেন সেটাই, ‘আমরা আশা করছি, ২৪-৪৮ ঘন্টার মাঝেই চুক্তি হয়ে যাবে। আমরা সেখানে(বাংলাদেশ) যেতে চাই। ক্রিকেট খেলতে চাই। আমাদের কাজ সেটাই।’ 
     

    তবে সিএ বা এসিএ, দুই পক্ষই আলোচনার পুরোটা সময় জুড়েই প্রায় নীরব থেকেছে। তবে গভর্নিং বডি নাকি এখনও তৃতীয় কোনও মধ্যস্থতাকারীর কাছেই যেতে চাইছে। সমস্যার সমাধান পদ্ধতির এই সমস্যা আবার আরও ঘনীভূত করতে পারে বিদ্যমান সমস্যা। সেক্ষেত্রে স্টিভেন স্মিথের দলের বাংলাদেশ সফর বয়কট করাটা হয়ে যেতে পারে একমাত্র উপায়!  
    তবে সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তৃতীয় কোনও মধ্যস্থতাকারীর কাছে যেতে তিনি ‘আগামী সপ্তাহ’ পর্যন্ত সময় নেবেন। সেক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের দ্বারস্থ হতে পারেন তারা। 

     

    তবে গত কিছুদিনের আলোচনার উন্নতিতে এই মধস্থ্যতাকারীর ব্যাপারটা প্রায় সরেই গিয়েছিল। টাকার অঙ্কেও খুশী ছিল দুই পক্ষই। যেখানে লভ্যাংশ ভাগাভাগির একটা নতুন মডেল আসবে। তবে মধ্যস্থতাকারীর ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল বলে এটা বাদ দিতে চান বোর্ড কর্তারা। 
     

    দুই পক্ষের আলোচনার সমাধান হলে ক্রিকেটাররা আপাতত একটি চুক্তির আওতায় আসবেন, ফলে নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ আসতে আপত্তি থাকবে না তাদের। তবে দরকষাকষি চলবেই, যার সময় থাকবে অ্যাশেজ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।