• ভারতের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    শ্রীলঙ্কার অসম্ভবের সারথী মেন্ডিস-করুনারত্নে

    শ্রীলঙ্কার অসম্ভবের সারথী মেন্ডিস-করুনারত্নে    

    তৃতীয় দিন শেষে

    ভারত ৬২২/৯

    শ্রীলঙ্কা ১৮৩ ও ২০৯/২ (মেন্ডিস ১১০, করুনারত্নে ৯২*)

    শ্রীলঙ্কা ২৩০ রানে পিছিয়ে


    হার্দিক পান্ডিয়ার অফ কাটারটা ঠিক বুঝতে পারেননি। একটু বেশি ঝুঁকে খেলতে গিয়েই হলো সর্বনাশটা। বলটা তাঁর ব্যাটের ভেতরে লেগে চলে গেল উইকেটের পেছনে। ঋদ্ধিমান সাহা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটা লুফে নিয়েই আবেদন করলেন। আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারলেন না সেটা আউট ছিল কি না। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ারের রায়েই বিদায়ঘন্টা বাজল কুশল মেন্ডিসের, শ্রীলঙ্কার স্বপ্নের বিকেলটা হঠাৎ করেই রঙ হারাল। এই টেস্টে পরাজয় এড়ানো এখনও প্রায় অসম্ভব, কিন্তু মেন্ডিস-করুনারত্নে উইকেটে থাকার সময় সেটি অলৌকিক মনে হচ্ছিল না।

    সত্যিটা হচ্ছে, এই টেস্টে শ্রীলঙ্কার পরাজয়ের এপিটাফটা লেখা হয়ে গেছে প্রথম ইনিংস শেষেই। আগের দিন ৫০ রানে ২ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। সকালটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো, উইকেট পড়তে থাকল একের পর এক। ৬০ রানেই ফিরে গেলেন অধিনায়ক চান্ডিমাল, চার রান পরেই আউট মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা এরপর প্রতি আক্রমণকেই মানলেন মন্ত্র, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে ডিকভেলার জুটির ৬৩ রান এলো মাত্র ৮.২ ওভারে। ২৬ রানে অশ্বিনের বলে আউট হয়ে গেলেন ম্যাথিউস, মুখোমুখি প্রথম বলেই জাদেজার শিকার ধনঞ্জয় ডি সিলভা। ডিকভেলা ফিফটি করার পরেই আউট হয়ে গেলেন শামির বলে। নবম উইকেটে পেরেরা ও পুষ্পকুমারার ২১ রানের জুটিটা একটু মান বাঁচিয়েছে শ্রীলঙ্কার। ৬৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অশ্বিন সফলতম বোলার, নিজের অভিষেকের পর তাঁর চেয়ে বেশি ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই আর কারও। শ্রীলঙ্কা এতোটাই পিছিয়ে ছিল, কোহলি আরেকবার বোলারদের বিশ্রাম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেও কষ্ট করতে হয়নি।

    কিন্তু শেষ বিকেলে মনে হচ্ছিল সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে আসবে। যাদবের বলে শুরুতেই আউট থারাঙ্গা, এরপরেই শুরু মেন্ডিস-করুনারত্নে জুটির। শুরুতেই অবশ্য ১ রানে জীবন পেয়েছেন মেন্ডিস, ২৬ রানে আউট হওয়ার পরও বেঁচে গেছেন ডিআরএস নিয়ে। কিন্তু সুইপ আর ড্রাইভের পাল্টা আক্রমণে সেসব কালি ঝেড়ে ফেলেছেন। সেঞ্চুরি পাওয়ার পর এমনকি পেয়েছেন কোহলির হাততালিও। করুনারত্নে এখনো ৯২ রানে অপরাজিত, শ্রীলঙ্কা এখনও পিছিয়ে ২৩০ রানে। হাতে আছে ৮ উইকেট, সামনে কাজটা কঠিন বললেও আসলে কম বলা হবে।