'ট্রায়ালেই' তামিমদের দেখে মুগ্ধ ও নিল
মাত্র দিন দশেক হলো বাংলাদেশে এসেছেন। অচেনা পরিবেশ, সঙ্গে যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম। সবকিছু এখনো ঠিকঠাক হয়তো বুঝেই উঠতে পারেননি। তবে মার্ক ও নিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যতটুকু দেখেছেন, তাতেই দারুণ মুগ্ধ। সৌম্যের মতো ব্যাটসম্যানদের টেকনিকেও কোনো সমস্যা দেখছেন না, অনেককেই বিশ্বমানের কাছাকাছি বলেও রায় দিয়ে দিয়েছেন।
ও নিলের জন্য অবশ্য থিতু হওয়ারও ঠিক সময় নেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য আলাদা করে ডেকে আনা হয়েছে এই ব্যাটিং পরামর্শককে, আপাতত মেয়াদটা ততদিনেরই। এই কদিনে যে বড় কিছু করাটা কঠিন, চট্টগ্রামের ক্যাম্পে সেটাও মনে করিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘এক মাসের জন্য এনে স্থায়ী ছাপ রেখে যাওয়া কঠিন। ছোট ছোট দিক নিয়ে কাজ করা যায়। এটা আসলে অনেকটা ট্রায়ালের মত। অনেকটা এরকম যে চাকুরীর জন্য আবেদন করলাম, কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার আগেই কাজটা করতে হচ্ছে।’
তবে যতটুকু দেখছেন, দরাজ সার্টিফিকেটই দিয়ে দিচ্ছেন, আমি খুব, খুবই ইমপ্রেসড। ছেলেরা ব্যাট হাতে ভালো করছে, বিশেষ করে আজকে। টেস্ট ম্যাচে কাজে লাগতে পারে, এরকম বেশ কিছু কৌশল নিয়ে ছেলেরা কাজ করছে।’ প্রশ্ন উঠল সৌম্য সরকারের মতো কারও ব্যাটিং টেকনিকে সমস্যা নিয়ে। ও নিল অবশ্য সেরকম মনে করছেন না, ‘টেকনিকে কোনো সমস্যা দেখি না। সৌম্য কেন, দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই বিশ্বের যে কোনো দলের মতোই ভালো। বেশির ভাগ সময় মাঝ ব্যাটেই খেলে, যেখানে মারতে চায়, মারতে পারে। ব্যাপারটা হলো মানসিকতার, ওরা যেন বিশ্বাসটা করতে পারে যে ওরা বিশ্বমানের। ওরা যদি ততটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে, অস্ট্রেলিয়াকে তাহলে সামর্থ্যের দারুণ পরীক্ষা দিতে হবে।’
তবে ও নিলের আরেকটা চ্যালেঞ্জ লোয়ার অর্ডার নিয়ে কাজ করা। অন্য দলগুলোর মতো বাংলাদেশের টেল এন্ডাররা ব্যাট হাতে খুব বেশি অবদান রাখতে পারছেন না বেশ কদিন থেকেই। ও নিল সমস্যাটা দেখছেন অন্য জায়গায়, ‘লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের একটা ব্যাপার হলো, বোলার হওয়ায় ব্যাটিং করার যথেষ্ট সময় ওরা পায় না। অনুশীলনে পর্যাপ্ত সময় পায় না। কিন্ত খেলোয়াড়ী ও কোচ জীবনে আমি অনেকবার দেখেছি, লোয়ার অর্ডাররা টিকে থেকে দলের অবদন রাখতে পারছে বলে দল জিতছে। তবে সেটা করতে হলে ওদের দিকে কিছুটা মনোযোগ দিতে হবে, অনুশীলনে ব্যাটিংয়ে সময় ও সুযোগ দিতে হবে।’
ও নিলের টোটকা তাসকিনরা কতটা কাজে লাগাতে পেরেছেন, জানা যাবে এই মাসেই