২০২১-এর কথা ভেবে ২০১৭-তে বাদ ও'কিফ
পুনেতে ভারতের সঙ্গে প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা ১২ উইকেট নিয়েছিলেন স্টিভ ও’কিফ। ভারতের মাটিতে কোনও বিদেশী স্পিনারেরও এটাই ছিল সেরা সাফল্য, কিন্তু উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়ার পরের সিরিজেই বাদ পড়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সফরের জন্য তাকে বাদ দিয়ে ন্যাথান লায়নের সঙ্গী হিসেবে অ্যাশটন অ্যাগারকে বেছে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে নেয়া হয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা লেগস্পিনার মিচেল সোয়েপসনকেও। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলছেন, ২০২১ সালে ভারত সফরের কথা ভেবেই বাদ দেয়া হয়েছে ও’কিফকে।
তবে কি শেষই হয়ে গেল এই বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ার? স্মিথ অবশ্য নিশ্চিত করতে পারছেন না সেটা, ‘এটা বলা আসলে কঠিন’, ‘আমার মনে হয় ভারতের সঙ্গে প্রথম টেস্টে সে ভাল বোলিং করেছে। সিরিজ-জুড়েই আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে উইকেট না পেলেও মাঝে মাঝে ভাল বোলিং করেছে। এখন মনে হয় সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে, অ্যাশটন অ্যাগারের মতো কাউকে সুযোগ দেয়ার সময়।’
‘অ্যাগার তো অনেক দিন ধরেই সুযোগের অপেক্ষায় আছে। স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে(বাংলাদেশে) তার ভাল করার এটা আরেকটা সুযোগ, আশা করি সে অনেক ভাল করবে।’
‘আমি ও’কিফের সঙ্গে কথা বলেছি। সে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। আমরা কোনদিকে এগুচ্ছি, সে সেটা বুঝতে পারছে। তার বয়সটাও আসলে বেড়ে যাচ্ছে। ভারতে আমাদের পরবর্তী সফর চার বছর পর, সে সিরিজের জন্য আমাদের ক্রিকেটারদের সঠিক গ্রুপটা খুঁজে বের করতে হবে।’
ও’কিফ অবশ্য এর আগে মদ্যপ অবস্থায় ‘অযাচিত’ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। জরিমানার সঙ্গে তার রাজ্যদল নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে পরবর্তী ঘরোয়া মৌসুমের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল তাকে। তবে সেই নিউ সাউথ ওয়েলসেরই প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রিউ জোনস ও’কিফের অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে বলছেন ‘অন্যায্য’, ‘আচরণের সমস্যা তো মিটে গেছে। এখন তো আর ঝুঁকির কিছু নেই। সে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বাঁহাতি স্পিনার। অ্যাগারও ভাল ক্রিকেটার। কিন্তু আমার মনে হয়, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, সিদ্ধান্তটা ভাল না।’