সুযোগ পেলে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সুয়েপসন
বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ যেবার টেস্ট সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, সে দলে ছিলেন দুজন লেগস্পিনার। শেন ওয়ার্ন, সঙ্গে যাকে বলা হয় ওয়ার্নের আলোতে হারিয়ে যাওয়া একজন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। এবার অস্ট্রেলিয়া দলে লেগস্পিনার একজন, অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মিচেল সুয়েপসন। ন্যাথান লায়ন ও অ্যাশটন আগারকে টপকে সুয়েপসনের অভিষেকের সম্ভাবনা খুব বেশি নয়, কিন্তু কে জানে! আগের দুই সফরে শিক্ষানবিশ হিসেবে স্কোয়াডে থাকা সুয়েপসনের স্বপ্নপূরণ হয়তো হয়ে গেল বাংলাদেশের মাটিতেই! পিচ-কন্ডিশন, অনেক কিছুই তো বদলে দিতে পারে হিসাব-নিকাশ।
অভিষেক হলেও চ্যালেঞ্জটা কম হবে না। সে চ্যালেঞ্জের কথা ভেবেই রোমাঞ্চিত সুয়েপসন, ডারউইনের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যাবেন সে রোমাঞ্চকে সঙ্গী করেই।
গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরের সময় ভারতে হাই-পারফরম্যান্স দলের সঙ্গে ছিলেন সুয়েপসন। সেখান থেকেই ডাকা হয়েছিল তাকে, নেটে বোলিং করতে। ন্যাথান লায়ন, সে সময় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজ করা মুত্তিয়া মুরালিধরনের সঙ্গে নেটে বল করেছেন। সে সময় থেকেই অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের মনে ধরেছিল তাকে। ভারত সফরেও তাই স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। খেলা হয়নি, অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যটাও বলার মতো নয়। কিন্তু এসব সফর সুয়েপসনকে দিয়েছে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। যে অভিজ্ঞতার নাম ড্রেসিংরুম, যে অভিজ্ঞতার নাম অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে একই হোটেল বা একই টিমবাসে ভ্রমণ!
‘আমি এর আগেও অজিদের নেটে বোলিং করেছি। কিন্তু পাশাপাশি থাকিনি, ড্রেসিংরুম ভাগ করিনি। এটা অনেক বড় একটা মুহুর্ত ছিল। তাদের কারও পাশে বসে থাকলে হুট করেই উপলব্ধি হতো, কতো বড় মঞ্চে আছি আমি!’
‘এটা আসলে অবিশ্বাস্য। যদিও আমি খেলার সুযোগ পাইনি কিন্তু অভিজ্ঞতাটাই দারুণ। সব ক্রিকেটারের সঙ্গে অনেক অনেক আলোচনা, আমি গোগ্রাসে গিলছিলাম যেন। আমি এসব থেকে আসলে অনেক কিছু শিখেছি।’
ভারত-শ্রীলঙ্কা বা তারও আগে আরব আমিরাতে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই সুয়েপসন তাই জানেন, বাংলাদেশের মাটিতেও কাজটা কতোটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তারও আগে চ্যালেঞ্জ অবশ্য দলে সুযোগ পাওয়াটাই। লায়ন-অ্যাগারের সঙ্গে তো স্পিনে হাত ঘুরাতে পারেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
‘আমাকে স্কোয়াডে সবার শেষে ডাকা হয়েছে, আমার মনে হয় বাকি দুই স্পিনারই তাই আমার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। কিন্তু কী ঘটবে বা পিচ কেমন হবে, সেটা তো আপনি আগে থেকে জানতে পারবেন না!’