• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    প্রথম দিনে অনুশীলন হলো বোলারদেরই

    প্রথম দিনে অনুশীলন হলো বোলারদেরই    

    স্কোর

    টিম মুশফিক ৪৭.১ ওভারে ১৪০/৯

    (ইমরুল ৫, সৌম্য ১, শান্ত ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ০,  মুশফিক ৩০, নুরুল ১৬, তাইজুল ২৬, সাকলাইন ১, রুবেল ১, শুভাশীস ০, আল-আমিন ব্যাট করেননি; শফিউল ৭.১-৩-১৭-৫, তাসকিন ৯-১-৩২-১, মুস্তাফিজ ৯-৪-১৫-১, কামরুল ৪-০১৭-০, সনজিত ৬-০-১৯-১, সানজামুল ১১-২-৩২-১, তানবির ১-০-১-০)

    টিম তামিম ১৭ ওভারে ৪৯/১

    (তামিম ২৩*, লিটন ৫, মুমিনুল ১৯*, রুবেল ৫-১-১৫-১, শুভাশীস ১.৪-১-৬-০, আল-আমিন ৩.২-০-৭-০, নাইম ৩-১-৬-০, তাইজুল ৩-০-১০-০, সাকলাইন ১-০-৩-০ )


    গোটা দিনে বেশ কয়েকবারই পুরো মাঠে পাক খেয়ে বেড়ালেন। একটু পর পর থেমে থেমে শফিউল-মুস্তাফিজদের শ্যেন দৃষ্টিতে দেখে নিচ্ছিলেন। দূর থেকে বোঝা যাচ্ছিল না বটে, তবে কোর্টনি ওয়ালশের মুখে একটা স্মিত হাসি ফুটে উঠতেই পারে। চট্টগ্রামে তিন দিনের অনুশীলন ম্যাচের প্রথম দিনটা তো পেসারদেরই ছিল।  শুভাশীষ, রাব্বি ও আল আমিন ছাড়া ছাড়া উইকেট পেয়েছেন বাকি চার পেসারই। বিশেষ করে শফিউলের বোলিং-ই সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দেবে বাংলাদেশের বোলিং কোচকে। পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনের সবটুকু আলো তো ছিল এই পেসারের ওপরেই।

    বৃষ্টি ম্যাচের শুরুটা বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছিল। মেঘলা আকাশ দেখে তামিম ইকবালের যদি বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন, সেটির যৌক্তিকতা খুব দ্রুত প্রমাণ করেছেন শফিউল। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ১ রানে, এক ওভার পর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন ইমরুলেও।  চার দিয়ে শুরু করে ইমরুল আউট হয়েছেন ৫ রান করেই। তবে দিনের সম্ভবত সেরা বলটা করেছেন মাহমুদউল্লাহকে। জোরের ওপর ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা খেলতে গিয়ে কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ।

    তবে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত এরপর একটু একটু করে টেনে তুলছিলেন। দুজনের জুটিটা যখন প্রায় জমে গেছে, তখনই সঞ্জিতের আঘাত। তরুণ এই অফ স্পিনারের নাম এই ম্যাচের আগের দিনের তালিকায় ছিল না। মুশফিকের আউটে অবশ্য বলের চেয়ে তাঁর ফিল্ডিংয়ে কৃতিত্বই বেশি, শর্ট পিচ বলটা সঞ্জজেত মাথার ওপর খেলতে গিয়ে জোরেই ড্রাইভ করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু লাফিয়ে সেটা ধরে ফেলেন সঞ্জিত, অধিনায়ক মুশফিক ফিরে যান ৩০ রান করে। ভেঙে যায় শান্তর সঙ্গে তাঁর ৫৬ রানের জুটি।

    তবে শান্ত খেলছিলেন ধীরস্থিরভাবেই। ফিফটি করে বড় কিছুরই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৫৩ রান করে সানজামুলের বলে ক্যাচ দিয়েই ফিরে গেছেন। নুরুল হাসান সোহান শুরুটা ভালো করেছিলেন, তবে তাসকিনের বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন তার পরেই।

    তবে এরপর বেশ কিছুটা সময় লড়াই চালিয়ে গেছেন তাইজুল। ওপাশে অবশ্য বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। এর মধ্যে আল আমিনকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ, রুবেলের স্টাম্প উড়িয়ে শফিউল পেয়েছেন নিজের চতুর্থ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৩০ রান করে শফিউলের বলে অউল করতে গিয়েই তাইজুল ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ১৪০ রানে ৯ উইকেট হারানোর পরেই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন মুশফিক।

    ব্যাট করতে নেমে লিটন দাশ ও তামিম ইকবালের জুটিটাও বেশিক্ষণ থাকেনি। রুবেলের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যেতে পারতেন লিটন, তৃতীয় স্লিপে মিস হয়েছে তাঁর সহজ ক্যাচ। কিন্তু এক ওভার পর আবার খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনেই ক্যাচ দিয়েছেন, ফিরে গেছেন ৫ রান করেই। মুমিনুল শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন, রুবেলের বলে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন থেকেও বেঁচে গেছেন। তবে দিন শেষে তামিমের সঙ্গে আর কোনো বিপদ হতে দেননি, বাকি দিনটা পার করে দিয়েছেন নির্বিঘ্নেই।