• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    বাংলাদেশে কোন অ্যাগার?

    বাংলাদেশে কোন অ্যাগার?    

    অভিষেকেই রেকর্ড। ট্রেন্টব্রিজে প্রথম ইনিংসে ১১ নম্বরে নেমে অ্যাশটন অ্যাগার খেলেছিলেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৯৮ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন, সেঞ্চুরিটা হয়নি তাই। ২০১৩ সালের সে অ্যাশেজেও হেরেছিল ইংল্যান্ড। পরের ইনিংসে নামলেন আট নম্বরে, পরের টেস্টের দুই ইনিংসেও তাই। এরপর আর টেস্ট খেলা হয়নি অ্যাগারের, সুযোগ পেয়েছেন চার বছর পর, বাংলাদেশ সফরে। 

    অ্যাগারের এবার ভূমিকাটা হবে মূলত প্রধান স্পিনার ন্যাথান লায়নের ‘সহযোগী’ হিসেবে। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও বলছেন, অ্যাগার হবেন সেরকম এক স্পিনার, যিনি একটু-আধটু ব্যাটও করতে পারেন। তবে অ্যাগারের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে অবশ্য আশাবাদি তিনি, ‘আমার মনে হয়, সে শীর্ষ ছয়ে উঠে আসতে পারবে ব্যাটিং অর্ডারের। তবে আপাতত সে একজন স্পিনার হিসেবে খেলবে, যে ব্যাট করতে পারে। ঠিক আমার মতো।’ 

    অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের এই রুপান্তরটাও অবশ্য অদ্ভুতই। দলে সুযোগ পেয়েছিলেন লেগস্পিনার হিসেবে, অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন আট নম্বরে, পরের ইনিংসে নয়ে। সেখান থেকে উঠতে উঠতে তিনিই তো এখন দলের সেরা ব্যাটসম্যান, খেলেন টপ অর্ডারে।

    ‘সে একটু অন্য ধাঁচের ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটের সুইংটা অনন্য, গতিপথটাও মোলায়েম। আর তার ব্যাটিং দেখেও মনে হয়, বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় পরিকল্পনা আছে। সে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ভূমিকা রাখার সামর্থ্য রাখে।’ 

    সুযোগ পেলে লুফে নিতে প্রস্তুত অ্যাগারও, ‘সুযোগ দিলে আমার মনে হয় সেটা (ব্যাটিং) করার সামর্থ্য আছে। আমি নিজেকে সমর্থন করবো এ ব্যাপারে, আমি নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবেই দেখি। এ স্কোয়াডে স্পিনার হিসেবেই সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু ব্যাটিং ও বোলিং দুইটিতেই আমার সামর্থ্য আছে।’ 

    বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াডে অস্ট্রেলিয়ার ফ্রন্টলাইন ব্যাটসম্যান পাঁচজন : স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, উসমান খাওয়াজা। সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবেই আছেন অ্যাগার, ম্যাক্সওয়েল ও কার্টরাইট। তবে ছয়ে ম্যাক্সওয়েলের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। জানুয়ারিতে সিডনিতে অভিষেক হওয়া কার্টরাইটও আছেন নির্বাচকদের পছন্দের তালিকায়। তবে সবকিছুই আসলে ঠিক হবে পরের সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া ডারউইনের প্রস্তুতি ক্যাম্প ও বাংলাদেশে এসে ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে।  

    স্মিথও তাকিয়ে সেদিকেই, ‘এটা ভাল একটা সুযোগ এগিয়ে আসার জন্য। আমাদের শেষ সিরিজটা ছিল ভারতে, বাংলাদেশের কন্ডিশনও মোটামুটি একই হবে। ডারউইনের প্রস্তুতি ক্যাম্পটা আমাদের জন্য ভাল একটা ব্যাপার হবে। কয়েকজনের দিকে আমরা ভাল করে দেখতে পারবো, তারা কেমন করছে।’