• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    সেঞ্চুরি হলো না মুমিনুলের

    সেঞ্চুরি হলো না মুমিনুলের    

    সবকিছুই হচ্ছিল ঠিকঠাক। প্রায় ‘চান্সলেস’ ইনিংসটা তিন অঙ্কে যাওয়ার পথেই ছিল। এক দুই বার পরাস্ত হওয়া ছাড়া সেই অর্থে আর কোনো সুযোগও দেননি। তবে মুমিনুল হকের শেষটা হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই, ৭৩ রান করেই সাকলাইন সজীবকে উপহার দিয়ে এসেছেন উইকেট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের সকালটা তাই নিজের করে নিতে নিতেও পারেননি।

    তামিমের দলের হয়ে আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। আজ সকাল থেকেই ছিলেন সপ্রতিভ, দারুণ কিছু স্ট্রেট আর কভার ড্রাইভে আশা দেখাচ্ছিলেন বড় কিছুর। এর মধ্যেই একটা ছন্দপতন হলো, প্রায় অসম্ভব একটা সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে গেলেন তামিম। শুভাশীষের বলে কাভার থেকে মাহমুদউল্লাহর সরাসরি থ্রো যখন স্টাম্প ভেঙে দিয়েছে, তামিম তখন ক্রিজের অনেকটা বাইরে। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নিজের উষ্মাটা জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরে ড্রেসিংরুমে ফিরেও ব্যাট দিয়ে কাচ ভেঙে নিজের হতাশাটা উচ্চকিত করেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সেই রান আউটে মুমিনুলের যদি দোষ থাকেও, পরে সেটা পুষিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল।

    এর মধ্যে সাকলাইন সজীবকেও দারুণ খেলছিলেন। অন্য প্রান্তে সাব্বিরও শুরুটা করেছিলেন আশা জাগানিয়া। দুইটি কভার ড্রাইভ মেরে শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু ১০ রান করে তাইজুলের ভেতরের দিকে ঢোকা একটি বল ভেঙে দেয় তাঁর লেগ স্টাম্প।

    তবে মুমিনুল ছিলেন অবিচল। তার আগেই সাকলাইনের বলে লেগে ঠেলে দিয়ে ফিফটিও হয়ে গেছে। কিন্তু সাকলাইনকে বেশি সহজে খেলতে গিয়েই গোলমালটা হয়ে গেছে, পুশ করতে গিয়ে নির্বিষ একটা বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে।  ৭৩ রানে আউট হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একাদশে নিজের দাবিটা জানিয়ে রেখেছেন ভালোমতোই।

    মুমিনুল আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে নাসির লাঞ্চ পর্যন্ত ছিলেন। সজীবের বলে লং অন দিয়ে আজকের দিনের একমাত্র ছক্কায় আরও বেশ কিছুর যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাসির অপরাজিত ৩২ রানে, অন্য প্রান্তে তানভীর হায়দার ছিলেন ৯ রানে। তামিমের দলের রান ৪ উইকেটে হয়ে গেছে ১৬৪, প্রথম ইনিংসে লিড হয়ে গেছে ২৪ রানের।