মুমিনুলের পর নাসিরের আফসোস
মুশফিকের দল ১ম ইনিংস: ৯ উইকেটে ১৪০ (ডিক্লে.) ও ৫ ওভারে ২৪/১ (ইমরুল ৮, সৌম্য ৯*, নাজমুল ৭*, মুস্তাফিজুর ৩-০-১২-১, তাসকিন ২-০-১২-০)
তামিমের দল ১ম ইনিংস: ৭৮.৩ ওভারে ২৮৩ (আগের দিন ৪৯/১) (তামিম ২৯, লিটন ৫, মুমিনুল ৭৩, সাব্বির ১০, নাসির ৬২, তানবীর ৫১, সানজামুল ২২, তাসকিন ২, রাব্বি ২, শফিউল ১০*, মুস্তাফিজ ২, রুবেল ১৭-২-৫৪-৩, শুভাশিস ৭.৪-৩-১৭-০, আল আমিন ৮.২-১-২২-০, নাঈম ৯-১-২৩-১, তাইজুল ১৮.৩-০-৮০-২, সাকলাইন ১৭-৪-৬৪-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৮-০)
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টি ছিল সারাদিনই। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রকৃতি অতটা নির্দয় হয়নি, আকাশ ঝলমল না করলেও চোখরাঙানি হয়ে গেল প্রায়ই। তিন দফা বাগড়া দেওয়ার পরেও সারাদিনে শেষ পর্যন্ত ৬৬ ওভার খেলা হয়ে গেল। কালকের মতো না হলেও আজও বোলাররা অনেক বারই সুযোগ পেয়েছেন উদযাপনের, রুবেল হোসেন ও সানজামুল ইসলামের জন্য যা এসেছে তিন বার করে। তবে বাকিদের চেয়ে একতু বেশিই হতাশ হবেন মুমিনুল হক ও নাসির হোসেন। ভালো একটা ভিত পেয়েও যে ইনিংসটা খুব বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই।
মুমিনুল সকালের সেশনটা আজ নিজের করে নিবেন বলেই মনে হচ্ছিল। শুরু থেকেই ছিলেন বেশ সপ্রতিভ, এক বার পরাস্ত হওয়া ছাড়া সেই অর্থে কোনো সুযোগও দেননি। সকালে তামিম ইকবালের রান আউটে তাঁর দায় যদি থেকেও থাকে, সেটাও মেটাচ্ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু ৭৩ রান করেই হলো ছন্দপতন, সাকলাইন সজীবের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে। তার আগেই তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন সাব্বির রহমান।
তবে পাঁচে নেমে নাসির নিজের ইনিংসটা অনেক বড় করবেন বলে মনে হচ্ছিল। শুরুটাও করেছিলেন দারুণ, সানজামুলকে ছয় মেরে দিনের প্রথমবার বলটা আছড়ে ফেলেন মাঠের ওপারে। তবে সবচেয়ে বেশি ঝাল ঝেড়েছেন তাইজুলের ওপর। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে শর্ট বলটা ছয় মারার পর একই ওভারে লং অনের ওপর দিয়ে আবার মেরেছেন ছয়। প্রথম ছয়ের পর তো বলই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাইজুলকেই আবার চার মেরে পেয়ে গেছেন ফিফটি।
ইনিংসটা যখন অনেক বড় করার আশা দেখাচ্ছিলেন তখনই খেই হারিয়ে ফেললেন। অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ৬২ রানে। ওপাশে তানবির হায়দার ছিলেন বেশ সপ্রতিভ, শুরু থেকেই রান তুলছিলেন দ্রুত। সানজামুলের সঙ্গে জুটিটা বেশ জমেও উঠেছিল। তবে রুবেল তানভীর হায়দারকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর সাকলাইনের বলে আউট হয়ে এগছেন সানজামুল। লোয়ার অর্ডারে সানজামুলের হাতও বেশ ভালোই মকশো হয়েছে, ২২ রান করে আউট হয়েছেন। তবে শেষদিকে বাকি উইকেটগুলো পড়েছে দ্রুতই। রুবেলের বলে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন তাসকিন। পরে রাব্বি ও মুস্তাফিজও টেকেননি বেশিক্ষণ। শুরুর দিকে বেশি সুবিধা করতে না পারলেও শেষ দিকে টেল এন্ডারদের বেশ ভুগিয়েছেন রুবেল।
১৪৩ রানের লিডটা তামিমের দল যেন আজই বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়ার পণ করেছিল। ইমরুল কায়েস শুরু করেছিলেন পর পর দুই বলে দুই চার মেরে। কিন্ত মুস্তাফিজের পরের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন পয়েন্টে। এরপর সৌম্য ও নাজমুল হাসান খুব বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি, দুজন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ম্যাচের বাকিটা সময়।