বাংলাদেশে ওয়ার্নারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন লেম্যান
বাংলাদেশের মাটিতে শেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৫ সালের দুই টেস্টেরই প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহটা ছিল বড়সড়, ৬২৮ ও ৫৫৭/৮ (ডিক্লে.)। তার আগে জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে তিন টেস্টে করতে পেরেছিল ২৪০, ৩৬৮ ও ৩৭৪। বাংলাদেশ জিতেছিল তিন টেস্টেই। শেষ সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড, দুই টেস্টে কোনও ইনিংসেই ৩০০ ছুঁতে পারেনি কোনও দলই। সিরিজ হয়েছিল ড্র।
ইংল্যান্ড সিরিজের উইকেট অবশ্য বাকি সিরিজগুলোর চেয়ে বেশ নীচু ও ধীরগতির ছিল। ছিল টার্নও। তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনে টেস্ট জিততে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ড্যারেন লেম্যান বুঝছেন সেটাই। আর সে কারণেই বলছেন, ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে পালন করতে হবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই।
ওয়ার্নারের রেকর্ড অবশ্য দুইরকম কথা বলে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার গড়টা প্রায় আকাশচুম্বি, ৬০.১১। অস্ট্রেলিয়ার বাইরে সে গড় নেমে আসে ৩৭.৪০-এ, এশিয়াতে সেটা পড়ে যায় ৩০.৩৮-এ, মানে দেশের মাটির গড়ের প্রায় অর্ধেকে! শেষ ভারত সফরেও নিজেকে খুঁজে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ান সহ-অধিনায়ক, চার টেস্টের সিরিজে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৫৬।
তবে ওয়ার্নার সেই ‘দুঃসময়’ ফেলে এসেছেন বলেই আশা কোচ লেম্যানের, ‘আমার মনে হয় সে এখন বুঝতে পেরেছে, সে কী করতে পারে, কী পারে না। উপমহাদেশে ফর্মের দিক দিয়ে সে যে ঘুড়ে দাঁড়াবে, এ নিয়ে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী।’
ওয়ার্নারের সমস্যা শুরু করা নয়, ভাল শুরুটা ধরে রাখা বলেই ধারণা কোচের, ‘সে ভাল ফর্মেই আছে, আমি এখন পর্যন্ত যেটা দেখেছি। ভারতে সে শুরুটা ঠিকঠাকই করেছিল প্রতিবার, তবে সেটা ধরে রাখতে পারেনি। যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে আমরা বাংলাদেশে খুবই ভাল একটা সিরিজ পাবো।’
‘তার জন্য বা দলের জন্য, তার কাছ থেকে বড় স্কোর দরকার আমাদের। যেমনটি সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে করে।’
তবে সব মিলিয়ে ভারত সফর থেকে বেশ কিছু উন্নতির জায়গা আছে বলে মত লেম্যানের, ‘ভারতে ছেলেরা কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মেনে নিয়েছিল, সেখানে তো প্রত্যেকটা উইকেটই আলাদা ছিল। কিন্তু ওই সিরিজটা যতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, আমরা তো হেরেছিলাম। বাংলাদেশে গিয়ে কিছু জায়গায় তাই উন্নতি করতে হবে আমাদের।’
লেম্যানের চাওয়া সেই উন্নতির জায়গাগুলোর অনেকটা জুড়েই নিশ্চয়ই আছেন ডেভিড ওয়ার্নার!