দ্বিতীয় দিনেই ধবলধোলাই দেখছে শ্রীলঙ্কা
স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে)
ভারত ৪৮৭
শ্রীলঙ্কা ১৩৫ ও ১৯/১
কলম্বো ও গলের পর ক্যান্ডিতেই একই চিত্রনাট্য। প্রথম দুই দিন পরেই আরেকটি হারের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা, এবার চোখ রাঙাচ্ছে ধবলধোলাই। দ্বিতীয় দিন শেষে ফলো অনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, ভারতকে আরেকবার ব্যাট করাতেই তাদের করতে হবে ৩৩৩ রান।
আগের দিন ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করে দিন শেষ করেছিল ভারত। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়ে বসে ঋদ্ধিমান সাহাকে। তবে হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদবের সপ্তম উইকেট জুটি শ্রীলঙ্কার আশা দ্রুতই নষ্ট করে দেয়। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৬২ রান। ২৬ রানে কুলদীপ আউট হওয়ার পরেই আরও হাত খুলে খেলতে শুরু করেন পান্ডিয়া। শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে যোগ করেছেন আরও ৮৬ রান, এর মধ্যে পুষ্পকুমারার এক ওভার থেকে নিজেই নিয়েছেন ২৬ রান। লাঞ্চের আগেই ৮৪ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি, লাঞ্চের আগে কোনো ভারতের ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির কীর্তি আর কারও নেই।
পান্ডিয়া যেখান থেকে শেষ করেছেন, মোহাম্মদ শামি যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। ২৩ রানের ভেতর ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার করুনারত্নে ও থারাঙ্গাকে। ৩৮ রানে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে গেছেন মেন্ডিস। সেই ৩৮ রানেই আবার কোনো রান না করেই পান্ডিয়ার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে গেছেন মাত্রই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। নতুন অধিনায়ক দীনেশ চান্ডিমাল নিরোশান ডিকভেলাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের একটু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ৬৩ রান যোগ করার পর ভেঙে যায় দুজনের জুটি। যাদবের ঘূর্ণিজাদুর শুরু তখনই।
ডিকভেলার পর চায়নাম্যান যাদব তুলে নেন পেরেরাকেও। ৪৮ রানে চান্ডিমালকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন অশ্বিন। এরপর কুলদীপ ও অশ্বিন মিলে শ্রীলঙ্কার লেজটা মুড়ে নিতে খুব বেশি সময় নেননি।
ফলো অনে পড়েই আবারও ধাক্কা খেয়েছে শ্রীলঙ্কা, এবার শ্রীলঙ্কাকে ৭ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন উমেশ যাদব। এই টেস্টে পরাজয় এড়াতে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে অসম্ভব কিছু।