• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    আরও আক্রমণাত্মক হতে চান শফিউলরা

    আরও আক্রমণাত্মক হতে চান শফিউলরা    

    চট্টগ্রামে তিন দিনের ম্যাচে কোর্টনি ওয়ালশ একটু বেশিই খুশি হতে পারেন। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম, আরেক পেসার রুবেল হোসেনও পেয়েছেন তিন উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী হিসেবে একজন পেসার যে থাকছেন, সেই ধারণার পালে হাওয়াটাও আরও জোরালো হয়েছে। আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে শফিউল ইসলাম জানালেন, সুযোগ পেলে আক্রমণাত্মকই থাকবেন পেসাররা।

    গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনাররাই ছিলেন সর্বেসর্বা। দুই টেস্ট মিলে পেসাররা পেয়েছিলেন মাত্র এক উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাই স্পিনেই ভরসা করতে পারে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে শফিউলরা দেখিয়েছেন, সুযোগ পেলে পেসাররাও কার্যকরী হতে পারেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে অনুশীলন শেষে সেটিই জানিয়ে গেলেন, 'আমাদের দেশে টেস্টে স্পিনাররাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সেই তুলনায় আমরা পেসাররা সেভাবে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারি না। পেসারদের সেই জায়গায় উন্নতির কথা ভাবতে হবে। শুরু থেকেই পেসারদের আক্রমণাত্মক হতে হবে।’

    শফিউল বিশ্বাস করেন, পেসারদের তূণে এর মধ্যেই বেশ কিছু তির যোগ হয়েছে, ‘ আমাদের জোরে বল করার মতো বোলার আছে। বৈচিত্র্য নিয়েও কাজ করছি আমরা। জায়গা মতো বল করতে পারলে পেসারদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

    শফিউলের নিজের জন্যও এই সিরিজটা নিজেকে প্রমাণ করার একটা উপলক্ষ। সেই ইচ্ছায় অবশ্য বার বারই বাধ সেঁধে বসেছে চোট। ক্যারিয়ারে টানা দুই টেস্টও যে কখনো খেলা হয়নি। শফিউলের কন্ঠে একটু আফসোসও শোনা গেল, ‘আমিও ইনজুরি নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন। যখনই আমি দলে ব্যাক করছি একটা না একটা ইনজুরিতে পড়েই যাচ্ছি। আসলে এখানে আমার কিছুই করার নেই। চেষ্টা করছি যাতে ইনজুরিতে থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু পারছি না। এই মূহুর্তে আমি সম্পূর্ণ ফিট, আশা করি এবার সুযোগ পেলে সামর্থ্যের পুরোটা দিতে পারব।’

    শফিউল থেকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এরকম কিছুই চাইবে বাংলাদেশ।