ইতিহাস গড়েই ভারতের ধবলধোলাই
ভারত ৪৮৭
শ্রীলঙ্কা ১৩৫ ও ১৮১
ফলঃ ভারত ইনিংস ও ১৭১ রানে জয়ী
ফলটা অনুমিতই ছিল। পরাজয় বাঁচাতে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হতো অবিশ্বাস্য কিছু। যা হওয়ার, ক্যান্ডি টেস্টেই তৃতীয় দিনেই সেটি হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৭১ রানে হারিয়েই ধবলধোলাই করেছে বিরাট কোহলির দল। এই প্রথম অন্তত তিন টেস্টের সিরিজে দেশের বাইরে কোনো প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল ভারত।
ফলো অনে নেমে আগের দিনই হারিয়ে ফেলেছিল থারাঙ্গাকে। আজ সকালে আবারও ধাক্কা খায় স্বাগতিকেরা, আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান দিমুথ করুনারত্নে ফিরে যান পশ্বিনের বলে। নাইটওয়াচম্যান পুষ্পকুমারা ও কুশল মেন্ডিসকেও এরপর দ্রুত ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কা আগের ইনিংসের ১৩৫ রানও পার নাও করতে পারে।
তবে সেখান থেকে হাল ধরেন বর্তমান ও মাত্রই সাবেক হয়ে যাওয়া দুই অধিনায়ক। চান্ডিমাল ও ম্যাথিউস পঞ্চম উইকেটে জুটিতে ৬৫ রান করার পর আবার আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসের ঘাতক কুলদীপ যাদব। ৩৬ রানে চান্ডিমালকে শর্ট লেগে ক্যাচ বানানোর পর আরও বড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। ৩৫ রান করে খানিক পরেই অশ্বিনের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান ম্যাথিউস। আঊটা অবশ্য একটু দুর্ভাগ্যজনকই ছিল, বল শুধু তাঁর লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেছে। তবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তার পর এই সিরিজের চিত্রনাট্য মেনে আরও একবার টেল এন্ডারদের নিয়ে প্রতি আক্রমণ করেছেন নিরোশান ডিকভেলা। আগের দুই টেস্টের মতো ফিফটি অবশ্য তাঁর পাওয়া হয়নি, নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪১ রান। লাহিরু কুমারাকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ শিকার বানিয়ে তুলিতে শেষ টান দিয়েছেন অশ্বিন।
অশ্বিন বা যাদব নন, দুর্দান্ত একটা অভিষেক সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। আর দুই সেঞ্চুরির জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কারটা গেছে শিখর ধাওয়ানের কাছে।