• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ইংল্যান্ড-স্মৃতি চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না মিরাজ

    ইংল্যান্ড-স্মৃতি চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না মিরাজ    

    ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’- ক্লিশে হয়ে যাওয়া কথাটা অন্তত গত বছর মেহেদী হাসানের জন্য একটুও বাড়াবাড়ি ছিল না। ইংল্যান্ডের সঙ্গে অভিষেক ইনিংসেই পেয়েছিলেন ছয় উইকেট, পরের টেস্টে ১২ উইকেট নিয়ে করলেন ‘বালকবীরের বেশে বিশ্বজয়’। এরপর আর দেশের মাটিতে সিরিজ খেলা হয়নি মিরাজের, বিদেশে যে পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন তাতে চার উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র এক ইনিংসে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশের মাটিতে সিরিজের আগে মিরাজ দাবি করলেন, এবার নিজের ওপর একদমই চাপ নিচ্ছেন না।

    ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে অনেক ইতিহাসই নতুন করে লিখিয়েছিলেন মিরাজ। এবারও হয়তো স্মিথদের জন্য সেরকম উইকেটই থাকবে, মুশফিকুর রহিম এর মধ্যেই আভাস দিয়েছেন সেরকম। মিরাজের ওপর কি তাতে চাপ আরেকটু বেড়ে যাবে? বাংলাদেশ দলের এই তরুণ অফ স্পিনার ব্যাপারটা সেভাবে দেখছেন না, ‘আমাকে কেউ কখনোই চাপ দেয়নি। সবাই বেশ উৎসাহ দিয়েছে, প্রেরণা দিয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো করব, করতেই হবে, এরকম ভাবলে নিজের ভেতর চাপ চলে আসে। ছয় সাত উইকেট নিতেই হবে এমন প্রত্যাশা থাকলে, তখন সেটা পূরণ না হলে খারাপ লাগে।’

    বরং দলের জন্য কিছু করতে পারাটাই বড় করে দেখছেন মিরাজ, ‘আবার আমি যদি চিন্তা করি দলের জন্য দুই তিনটি উইকেটও পাই, তখন কিন্তু অনেক বেশি ভালো খেলি। দলের প্রয়োজনে যখন যা দরকার, সেটা দুই তিন বা পাঁচ উইকেট হয় সেটাই করার চেষ্টা করব।’ ভালো কিছু করতে হলে যে সতীর্থদের সাহায্যও দরকার, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রত্যাশা থাকবে ভালো কিছু করার, আমাদের দেশে খেলা। সাকিব ভাই আছে, তাইজুল ভাই আছে। ওঁদের কাছ থেকেও সাহায্য পাব।’

    অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে প্রস্তুতিটা অবশ্য ঠিক মনের মতো হয়নি। দলের সঙ্গে ফিটনেস ক্যাম্প করলেও চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ ক্যাম্পের আগেই পাড়ি জমিয়েছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। সেখানেও কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ হয়নি। মিরাজ অবশ্য জানিয়েছেন, নিজের মতো করে সেখানেও প্রস্তুতি নিয়েছেন।

    ‘আসলে ওইখানে তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছিল। আমার যতটুকু দরকার সেটা  আমি করেছি, অফ ডেতে প্র্যাকটিস করেছি। ওইরকমভাবে তো করতে পারিনি, খেলাও ছিল। এখানে দলের সঙ্গে থাকলে আরেকটু হয়তো করতে পারতাম। আমি আজকে বোলিং করেছি, ব্যাটিংও করেছি। এই দশ দিন আছে নিজের আরও উন্নতি করার। আমি নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ারই চেষ্টা করব।’

    আপাতত মিরাজের কাছ থেকে সেটুকুই চাইবে বাংলাদেশ।