• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    বাংলাদেশের সঙ্গেই ফিরছেন খাওয়াজা-অ্যাগার?

    বাংলাদেশের সঙ্গেই ফিরছেন খাওয়াজা-অ্যাগার?    

    ম্যাট রেনশর পাশে বসে আসছেন উসমান খাওয়াজা। গেম অব থ্রোনস দেখতে দেখতে, হ্যারি পটার পড়তে পড়তে। ডারউইন থেকে বিমানে চড়েছে অস্ট্রেলিয়া, ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রাতে। তবে বিমানে চড়ার আগেই একটা ‘সুসংবাদ’ পেয়েছেন হয়তো খাওয়াজা, তার টেস্টে ফেরার আভাসই যে দিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। 

    অস্ট্রেলিয়ার গত এশিয়া সফরে দলে ছিলেন না এই বামহাতি। ভারতের সঙ্গে তার জায়গায় খেলেছিলেন শন মার্শ। এবার মার্শের জায়গায় খাওয়াজাকেই বেছেছেন নির্বাচকরা, দলে সুযোগ পেলেও অবশ্য পরিসংখ্যানটা একপাশে রেখে খেলতে হবে তাকে, রেকর্ড যে তার হয়ে কথা বলে না খুব একটা! এশিয়ার মাটিতে ১৫টি প্রথম শ্রেণির ইনিংসে তার একটিই ফিফটি, শ্রীলঙ্কায়, প্রস্তুতি ম্যাচে। 

    ‘আমার মনে হয় উসমান এ গ্রীষ্মে আমাদের জন্য অনেক বড় এক ক্রিকেটার হতে যাচ্ছে’, ডারউইনে সাংবাদিকদের বলেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সে গত কয়েক বছর অসাধারণ খেলেছে। জানুয়ারির পর থেকে সেভাবে ক্রিকেট খেলেনি, তবে সে মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আমি অনুমান করছি, সে সুযোগটা পাবে।’ 

    বাংলাদেশেই সুযোগ পেতে যাচ্ছেন অ্যাশটন অ্যাগারও। ভারত সফরে দলে ছিলেন স্টিভ ও'কিফ, তার জায়গায় এবার এসেছেন অ্যাগার, যদিও ২০১৩ সালে অভিষেক সিরিজের পর আর টেস্ট খেলেননি তিনি। সেবার ১১ নম্বরে নেমে নটিংহ্যামে ৯৮ রান করেছিলেন অ্যাগার, স্মিথ কদিন আগে বলেছেন, তার সামর্থ্য আছে শীর্ষ ছয়ে ব্যাটিং করার। আপাতত দায়িত্ব অবশ্য লায়নের সঙ্গে স্পিনভার সামলানোর। 

    ‘এখানে দাঁড়িয়ে আমি বলবো, সে অনেক উন্নতি করেছে। গেল সপ্তাহেও সে অনেক ভাল বোলিং করেছে, এমন হলে সেই সুযোগটা পেতে যাচ্ছে হয়তো’, স্মিথকে মুগ্ধ করেছে অ্যাগারের লাইন-লেংথ, ‘আমার কাছে মনে হয়, অ্যাগার বেশ ধারাবাহিক, গুডলেংথে ধারাবাহিকভাবে বল করে যাচ্ছে। এটাই বিপজ্জনক করে তুলবে তাকে। উপমহাদেশে স্পিন বোলিংয়ে এটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। সে যদি গুডলেংথে বল করাটা বজায় রাখতে পারে, তাহলে সে এই সফরের সঙ্গে ভবিষ্যতেও আমাদের জন্য বেশ বড় ক্রিকেট হতে যাচ্ছে, এটা আমি নিশ্চিত।’ 

    গ্লেন ম্যাক্সওয়েল না হিলটন কার্টরাইট, সেটা এখনই নিশ্চিত করেননি অবশ্য স্মিথ। ভারত সফরের পারফরম্যান্স ম্যাক্সওয়েলকেই এগিয়ে রাখবে, তবে কার্টরাইটের মিডিয়াম পেসও হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু বাংলাদেশে এসেই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্মিথ, ‘আমরা অপেক্ষা করবো কন্ডিশন কেমন সেটার দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে আমাদের কাছে দলের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হবে, সেটাই করা হবে।’ 

    ‘বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনে খুবই ভাল দল, তারা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা ভারত থেকে কী শিখেছি, সেটা দেখতে বাংলাদেশে কয়েকটা ম্যাচ খেলা খুবই ভাল একটা ব্যাপার। আশা করি ছেলেরা অনেক কিছুই শিখেছে, এটা আমাদের জন্য সফল একটা সফরই হবে।’