শুভাগতর ভূমিকাতেই দলে নাসির
সপ্তাহদুয়েক আগেই প্যাভিলিয়নকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ঢোকার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করছেন। তবে সাদা পোশাকে সেই সুযোগ এত দ্রুত চলে আসবে, সেটা নাসির হোসেন নিজেও কি ভেবেছিলেন? দুই বছর আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন নাসির, ডাক পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য ১৪ জনের দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, শুভাগত হোমের ইংল্যান্ড সিরিজের ভূমিকাতেই নাসিরকে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিকল্প রাখা হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের জন্যও।
রঙিন পোশাকে সেই ইমার্জিং কাপের পর থেকেই দারুণ ফর্মে নাসির। প্রিমিয়ার লিগে গাজীকে শিরোপা জিতিয়েছেন, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য চট্টগ্রামের প্রস্তুতি ম্যাচেও ছিলেন সপ্রতিভ। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে অবশ্য কতটা পরীক্ষিত, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যেতে পারে। জাতীয় লিগে গত বছর ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন বটে, তবে এরপর জাতীয় লিগ ও বিসিএল মিলে দশ নিংসে সর্বোচ্চ ছিল ৬৮।
অবশ্য শুধু ব্যাটিং নয়, নাসিরের অন্য একটা ভূমিকার কথাই ভেবে রেখেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন, ‘আমরা আসলে নাসিরকে একটু অন্যভাবে চিন্তা করেছি। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া দলে অনেকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে, সেহেতু মিরাজের সঙ্গে একটু অফস্পিন করতে পারে, ব্যাটিং করতে পারে, এমন একজন অলরাউন্ডার খুঁজছিলাম। সর্বশেষ দেশের মাটিতে হোম (শুভাগত) যে ভূমিকাটা পালন করেছিল।’
ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওই সিরিজে হোম অবশ্য শুধু মিরপুর টেস্টটাই খেলেছিলেন। ব্যাট হাতে বড় স্কোর করতে পারেননি, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানের ইনিংসটা পরিস্থিতির তুলনায় ছিল মূল্যবান। নাসিরের কাছে তার চাইতে আরও বেশি কিছুই চাইবে দল।
তবে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাসিরের ভূমিকাটা দেখছেন মূলত মোসাদ্দেকের বিকল্প হিসেবে, ‘এটা আসলে নির্বাচকদের কল। আমরা মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সে ভালো করতে পারে। মোসাদ্দেক খুব ভালো অবস্থায় নেই, ওর চোখে সমস্যা আছে। সেজন্য ওর একজন বিকল্প রাখার চিন্তাও মাথায় আছে।’ চোখের সমস্যার জন্যই চট্টগ্রামে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারেননি, এরপর অবশ্য দলের সঙ্গেই অনুশীলন করছেন মোসাদ্দেক।
তবে হাথুরুসিংহের কথা ঠিক হলে নাসিরের সুযোগ পাওয়াটা অনেকটুকু নির্ভর করছে মোসাদ্দেকের সুস্থ হয়ে ওঠার ওপরেই!