যে কারণে অপেক্ষা বাড়ল মাহমুদউল্লাহর...
গল টেস্টে ব্যর্থতার পর কলম্বোর শততম টেস্টে বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। সেসময় তাঁর দেশে ফিরে যাওয়া, পরে আবার বোর্ড প্রধানের হস্তক্ষেপ। এসব নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এর মধ্যে পাঁচ মাস কেটে গেলেও ভাগ্যটা বদলায়নি মাহমুদউল্লাহর। আজ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে ওয়ানডে ফর্ম বিবেচনা করা হয়নি।
গল টেস্টের আগে সব ধরনের ক্রিকেটেই রানখরার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি সেই ২০১০ সালে, সর্বশেষ ছয় টেস্টে ফিফটি মাত্র একটি। তার ওপর কলম্বোতে একাদশে জায়গা পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন ফিফটি করে নিজের দাবিটা জানিয়ে রেখেছিলেন ভালোমতোই। মাহমুদউল্লাহর ১৪ জনের দলে থাকাটা তাই সুতোর ওপরেই ঝুলে ছিল।
শেষ পর্যন্ত ভাগ্যে শিকে ছিড়ল নাসিরেরই, মাহমুদউল্লাহ জায়গা পেলেন না দলে। গল টেস্টের পর অবশ্য ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই রঙিন পোশাকে উজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটি ইনিংস চল্লিশ ছাড়ানো, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওই সেঞ্চুরি তো অনেকদিনই শিহরণ জাগাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। কিন্তু সীমিত ওভারের ওই রান পাঁচ দিনের জন্য যথেষ্ট হলো না। মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, ‘এটা প্রত্যাশিত, রিয়াদ থাকবে না, শেষ স্কোয়াডে শ্রীলংকার সঙ্গে সে ছিল না। আর ওয়ানডে আর টেস্ট একসাথে বিবেচনা করা হয়নি। ওয়ানডে আলাদা, টেস্ট আলাদা, টি-টোয়েন্টি আলাদা।’
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য আলাদা করে তাঁর নাম বলেননি। তবে জানিয়ে গেলেন ওয়ানডেতে ভালো করার পরেও টেস্ট দলে কেউ কেউ সুযোগ পাননি। কলম্বোর সেই দলের ওপরেই আস্থা রাখতে চেয়েছেন কোচ, সেটাও বলে দিলেন। আপাতত তাই অপেক্ষা বাড়ল মাহমুদউল্লাহর ।