• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    একসময় ৫০ নিয়েও সন্দেহ ছিল তামিমের !

    একসময় ৫০ নিয়েও সন্দেহ ছিল তামিমের !    

    দুজনের টেস্ট অভিষেকের এক বছর আগে পরে। তবে দুজনের সুরটা মোটামুটি কমবেশি একই। পঞ্চাশতম টেস্ট নিয়ে সাকিব আল হাসানের বাড়তি কোনো রোমাঞ্চ নেই, তামিম ইকবালও এমন কোনো উচ্ছ্বসিত নন। নিজের ক্যারিয়ার শুরুর সময়েও এত টেস্ট খেলার কথা ভাবেননি, সেটা জানিয়ে দিলেন অকপটে। বরং এখন যারা খেলবে, তাদের জন্য সেই লক্ষ্যটা নির্ধারণ করা সহজ, সেটিই জানালেন।

    সেই ২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। তার আগেই বিশ্বকাপের জহির খানকে ওই ছয় মেরে তামিম জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এসে গেছেন। এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। মুদ্রার দুই পিঠ তাঁর মতো বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারকেও সম্ভবত দেখতে হয়নি। এতদিনের অভিজ্ঞতা মানুষ হিসেবেও বেশ কিছুটা থিতু করেছে তামিমকে। সেজন্যই হয়তো ৫০তম টেস্ট নিয়ে তেমন একটা ভাবাবেগ নেই টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটসম্যানের, ‘বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই। আমার পারফরম্যান্স বা টিমের রেজাল্ট নিয়ে এটাকে আরও কোনো স্পেশাল করব, সেই আশাই করি।’  বরং মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সাকিবের সঙ্গে এই টেস্টে ভালো কিছু করতে না পারলে এই মাইলফলকের কোনো মানে নেই, ‘৫০টা টেস্ট খেলাটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু দিন শেষে এখানে মনে রাখার মতো কিছু না হলে এটা আসলে অর্থহীন। আমি ও সাকিব চেষ্টা করব, নিজেরা ভালো করতে পারলে বা দলের জন্য ভালো কিছু করতে।’

    তামিম অবশ্য জানাচ্ছেন, ‘টেস্ট শুরুর সময় লক্ষ্য-টক্ষ্যের কথা তাঁর মাথায় খুব একটা ছিল না। বরং এখন বাংলাদেশ নিয়মিত যেভাবে খেলছে, তাতে মিরাজদের জন্য কাজটা সহজ বলেও মনে করছেন, ‘সত্যি কথা, কোনো নাম্বার মাথায় ছিল না। টেস্ট ক্রিকেট শুরুর করার পর এটাই মাথায় ছিল, যত লম্বা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা যায়। একটা সময় যেভাবে টেস্ট খেলছিলাম ৫০টা হবে কি না সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল। এখন আমরা টেস্টও অনেক বেশি খেলছি আগের তুলনায়। এখন হয়তো যারা শুরু করবে, তাদের জন্য আমাদের চেয়ে কোনো লক্ষ্য ঠিক করাটা সহজ।’