'হানিমুনে' না গিয়েই খেলতে নেমেছিলেন দনঞ্জয়া
ম্যাচের ঠিক আগেরদিন ছেলেবেলার বান্ধবীর সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কথা ছিল, বিয়ে শেষ করেই মধুচন্দ্রিমায় যাবেন। কিন্তু কী মনে করে সেদিন রাতেই দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন লংকান স্পিনার আকিলা দনঞ্জয়া। পরের দিন একাদশে সুযোগও পেয়ে গেলে। ‘হানিমুন’ না করে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
২৩ আগস্ট নিজের সহর মরতুয়াতে সম্পন্ন হয় দনঞ্জয়-নেথালির বিয়ের অনুষ্ঠান। প্রথম ওয়ানডেতে দলে সুযোগ না পাওয়া দনঞ্জয় বিয়ে শেষেই চলে যেতে পারতেন মধুচন্দ্রিমায়। সেই পরিকল্পনা অবশ্য শেষমেশ বাতিল করে দলের হোটেলে উঠেছেন, “বিয়ের অনুষ্ঠান দুপুরে ছিল। শেষ হতে হতে বিকাল ৪ টা বাজলো। হোটেলে যখন পৌছাই তখন রাত সাড়ে এগারোটা বাজে! অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল আসলে। ঠিক পরেরদিনই যে এরকম কিছু হবে সেটা একদমই ভাবিনি! এই ম্যাচে তো খেলতে নামারই কথা ছিল না।”
মধুচন্দ্রিমায় না গিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছেন স্ত্রী নেথালিও। কোহলিদের সামনের ‘দুর্বোধ্য’ হয়ে ওঠা দনঞ্জয়ের গুগলিতে মুগ্ধ ছিলে সবাই।দনঞ্জয় বলছেন, নিজের বোলিংয়ে একটু বৈচিত্র্য আনতে চেয়েছিলেন, “আমি একজন অফ স্পিনার। লেগ স্পিন অথবা গুগলিতে উইকেট নেওয়া বেশি সহজ। আর ম্যাচের ওই মুহূর্তে মনে হয়েছিল, অফ স্পিন খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। তাই কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে চেয়েছিলাম, ওটাই কাজে দিয়েছে। খুব বড় লক্ষ্য ছিল না ভারতের সামনে, উইকেট নেওয়া ছাড়া আর উপায়ও ছিল না।”