• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড : ৫০-এ ৫০, সঙ্গে ২৫০

    ২২ গজের সেলুলয়েড : ৫০-এ ৫০, সঙ্গে ২৫০    

    ৫০-এ ৫০

    হ্যামিল্টনে ২০১০ সালে সাইমন ক্যাটিচ ও মাইক হাসি দুইজনই খেলতে নেমেছিলেন নিজেদের ৫০তম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ক্যাটিচ করেছিলেন ৮৮, দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬। হাসি প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২২, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭। সতীর্থদের একসঙ্গে ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে ৫০-এর অধিক রানের ঘটনা ছিল এটিই। আজ যুক্ত হলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে দুজনই ফিফটি করলেন, সেঞ্চুরি পেলেন না একজনও। অবশ্য সে ‘আক্ষেপ’ মেটানোর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে সুযোগ থাকছে দুই ‘ফিফটিম্যান’-এর! 

     


    লায়নের ২৫০

    দুইটি উইকেট হলেই রিচি বেনোকে টপকে যেতেন ন্যাথান লায়ন। লায়ন উইকেট নিলেন তিনটি, ৮ম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁলেন। অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারদের মধ্যে তার সামনে আছেন ‘শুধু’ শেন ওয়ার্ন(৭০৮)। অফস্পিনার হিসেবে লায়ন ৬ষ্ঠ বোলার হিসেবে গড়লেন এ কীর্তি। এখানে তার সামনে আছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন(৮০০), হারভাজান সিং(৪১৭), ল্যান্স গিবস(৩০৯), রবি আশ্বিন(২৯২) ও গ্রায়েম সোয়ান(২৫৫)। 


    ছক্কা তামিম

    ন্যাথান লায়নকে ছয় মেরে শুরু করলেন লং-অফ দিয়ে। এরপর ইনসাইড-আউট করে আরও দুইটি ছয়। বাংলাদেশ ইনিংসে আজ তিনটি ছয় হয়েছে, তিনটিই মেরেছেন তামিম। মোহাম্মদ রফিকের আরেকটু কাছে চলে গেলেন তিনি। বাংলাদেশীদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছয় রফিকের, ৩৪টি। আজকের তিনটি দিয়ে তামিমের ছয়ের সংখ্যা এখন ৩১। ৪৫৭টি চার নিয়ে অবশ্য এগিয়ে তামিমই, তার পেছনেই ৪৪১টি চার নিয়ে আছেন সাকিব। 
     


    থমকে যাওয়া শট, থেমে যাওয়া তামিম

    তেঁড়েফুঁড়ে মারতে থাকা তামিম শটটা যেন শেষ মুহুর্তে থামিয়ে দিলেন। দূর্ঘটনা তাতেই ঘটে গেল, শর্ট থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ নিলেন ওয়ার্নার। তামিম বাউন্ডারি পেরিয়ে ড্রেসিংরুমে যাবেন, হঠাৎ করেই থামিয়ে দেয়া হলো তাকে। ম্যাক্সওয়েলের পা পরখ করে দেখা হলো, ঠিকঠাক আছে কিনা। শট থামিয়ে বিপদে পড়া তামিমকে এরপর সীমানার ভেতর আর থামতে হলো না, ড্রেসিংরুমের দিকেই চলে যেত হলো এরপর! 

     

    ধ্বসে যাওয়া টপ-অর্ডার, ফসকে যাওয়া বল 

    বৃষ্টির আনাগোণা ফুরিয়ে গেছে, মিরপুরে তখন আলোর বসতি। সব আলো যেন কেড়ে নিলেন প্যাট কামিন্স একাই। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরী করলেন, বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধ্বসিয়ে দিলেন। এরও অনেক পরে, মিরপুরের একপাশের আকাশে জমতে শুরু করেছে মেঘ। কামিন্স আবার বোলিংয়ে এলেন, নাসির হোসেনকে করবেন প্রথম বলটা। বলটা করলেন, তবে সেটা নাসিরের দিকে না গিয়ে গেল পয়েন্টের দিকে! গড়িয়ে গড়িয়ে। হাত ফসকে গিয়েছিল, হলো নো-বল। এরপর ঠিকঠাকই করলেন ওভার, তবে শুরুর ওই তিন উইকেটের পর আর পেলেন না উইকেট। 


    ইনিংসজুড়ে মেঘ 

    শেষ ২০০৪ সালে এতো কম রানে প্রথম ৩ উইকেট হারিয়ে টেস্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজ ১০ রানেই নেই প্রথম তিন ব্যাটসম্যান, ৪ ওভারের ব্যবধানেই। বাংলাদেশের ইনিংসে তখন শঙ্কার কালো মেঘ! সে মেঘ কিছুটা সরে গেল সাকিব-তামিমের ব্যাটিংয়ে, দ্রুত শেষের উইকেট হারিয়ে সে মেঘ ফিরলো আবার। বাংলাদেশের ইনিংস যেন মিরপুরের আকাশ, কালো মেঘ জমে, কেটে যায়! এরপর ৯ বলের মাঝেই অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট নেই, রান ১৪। মিরপুরের মেঘটা ফিরুক বা না ফিরুক, অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে কালো মেঘ ঝুলেই থাকলো!