• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড : একই পথে, সঙ্গে 'ক্লান্ত' বল

    ২২ গজের সেলুলয়েড : একই পথে, সঙ্গে 'ক্লান্ত' বল    

    একই পথে : এক

    আগেরদিন শেষবেলায় উসমান খাওয়াজার কী হয়েছিল কে জানে! পায়ে লেগে শর্ট কাভারের দিকে গেল বল, তিনি পড়িমড়ি করে ছুটলেন। ওপাশ থেকে রেনশ সাড়া দিলেন না বলে পড়িমড়ি করে ছুটলেন উল্টোদিকে। শেষ পর্যন্ত বাঁচলেন না। এদিন শেষবেলায় সৌম্য হুট করেই তুলে মারতে গেলেন। চারবারের চেষ্টায় ধরলেন খাওয়াজা, শেষ পর্যন্ত বাঁচলেন না তিনিও। সৌম্যর কী হয়েছিল, সেটা তিনি জানেন কি!


    একই পথে : দুই

    ম্যাট রেনশর ক্যাচটা প্রথমে হাতে পুরলেন, বেড়িয়ে গেল। ভাগ্য ভাল, বল থাকলো সৌম্যর মাথার ওপরেই। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় হলেন সফল। ব্যাটিং করতে নেমে সেই সৌম্য লং-অনে ক্যাচ দিলেন। খাওয়াজা প্রথমে হাতে নিলেন, বেরিয়ে গেল। এরপর একহাত লাগালেন, হাতে পুরতে পারলেন না। এবার চেষ্টা করলেন দুইহাতে, নাগালই পেলেন না! পায়ে লাগলো, নিচে পড়ার আগে বাগে আনলেন খাওয়াজা। এক ক্যাচ ধরলেন চারবারের চেষ্টায়, সৌম্যর চেয়ে দুইবার কম।


    ফিল্ডিংয়ে শফিউল-বিভ্রাট

    চারজন এগিয়ে আসছিলেন ক্যাচটার জন্য। সহজ ক্যাচ। শফিউল দায়িত্ব নিলেন। ধরলেন। ভার সামলাতে না পেরে পড়ে গেলেন। বিপত্তি ঘটলো সেখানেই, শফিউলের আঙ্গুল গলে বেরিয়ে গেল ক্যাচটা! সহজ ক্যাচ, কঠিন মিস! কামিন্সের সেই ক্যাচ মিসের মাশুলটা দিল বাংলাদেশ। শফিউলের ফিল্ডিং বিভ্রাটের এটাই শেষ নয়। ৫৯তম ওভারে ডিপ ফাইন লেগ থেকে থ্রো করেছিলেন, কামিন্স দুই রানের জন্য ছুটছিলেন। ঠিকঠাক থ্রোটা হলে বিপদ হতেও পারতো, শফিউল যে থ্রোটা করলেন, সেটা ধরতে মুশফিককে হতে হতো সুপারম্যান!


    চা-বিরতির পর যেন নতুন শুরুর পণে নামলেন শফিউল, কামিন্সের ক্যাচ মিস ভুলে। মাঠের পাশের মিটিং শেষে মাঠে সবার আগে এগিয়ে গেলেন তিনিই। কামিন্স আউট হলেন অবশেষে, কিন্তু ৭০তম ওভারে গিয়ে আবার করলেন মিসফিল্ড, গুণলেন এক রানের দন্ড!

     


    ক্লান্ত বল

    ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটে লাগলো, শরীরে লেগে পড়লো পেছনে। গড়িয়ে গেল স্টাম্পের দিকে। স্টাম্পের গোড়ায় লাগলো, তবে ততক্ষণে যেন হাঁপিয়ে গেছে বলটা! স্টাম্পের গোড়াতেই বসে বিশ্রাম নিতে থাকলো সেটা, আসল কাজ বেলস ফেলা বাদ দিয়ে। বলের বিশ্রামের সুযোগে বেঁচে গেলেন সৌম্য, সে যাত্রায়!

     

     

    ‘আমি এক পাহারাদার’

    ৫ বল খেলে ০ রান। হলেন সাকিবের বলে এলবিডাব্লিউ। ন্যাথান লায়নকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে পাঠানো হয়েছিল, উলটো তিনিই পড়লেন বিপদে! বাধ্য হয়ে নামতে হলো স্টিভ স্মিথকেই। আজ ‘পাহারাদার’ হিসেবে নামলেন তাইজুল, খেললেন ৯ বল। আঁকড়ে থাকলেন উইকেট, নির্ভার রাখলেন ইমরুলকে, সঙ্গে তামিমকেও। দিনশেষে অভিনন্দনও পেলেন তামিমের কাছ থেকে।

     

    সেই অ্যাগার, এই অ্যাগার

    অভিষেকে ১১ নম্বরে নেমে গড়েছিলেন রেকর্ড। সেই ৯৮ রানই হয়ে আছে তার সর্বোচ্চ। সেই টেস্টের পর তো মাঝে খেলেছিলেনই আর একটি টেস্ট। এ সিরিজ শুরুর আগেই স্মিথ বলেছিলেন, অ্যাগারের সামর্থ্য আছে শীর্ষ ছয়ে ব্যাটিং করার। সেই অ্যাগার নামলেন ৯ নাম্বারে, খেললেন ৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তিন টেস্টে ক্যারিয়ারে এটিই এখন তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্যাটসম্যান অ্যাগার কি ঝলক দেখাবেন পরের ইনিংসেও?