'দুবারই আমার কিছু করার ছিল না'
যেভাবে খেলছিলেন, হতে পারত অনেক কিছুই। হতে পারতেন ৫০-তম টেস্টে সেঞ্চুরি করা ৩৭-তম ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সেঞ্চুরি ছিল, সেখানে যোগ হতে পারত অস্ট্রেলিয়ার নামও। কিন্তু প্যাট কামিন্সের লাগিয়ে ওঠা একটা বলে আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে ৭৮ রানে। সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, ওই বলে আসলে তাঁর কিছু করার ছিল না।
যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, মিরপুরের উইকেটের কঠিন প্রশ্নপত্র তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল জলবৎ তরলং। উইকেটে এমন কোনো জুজু ছিল বলেও মনে হচ্ছিল না। তবে তামিমের আউটের পরেই যেন বদলে গেল সবকিছু। তামিম অবশ্য জানিয়েছেন, ওই আউট নিয়ে তাঁর কিছুই করার ছিল না, 'আজ যেভাবে আউট হয়েছি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে থাকা উচিত নয়। কারণ আমার নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। প্রথম ইনিংসেরটাও।' সেঞ্চুরি পাননি বলে একটু আক্ষেপও আছে, 'আমি যেভাবে ব্যাটিং করেছি, সেঞ্চুরি পেলে অবশ্যই খুশি হতাম। যেভাবে ডিসিপ্লিনড ওয়েতে আমি ব্যাটিং করেছি, যতোটা কষ্ট করেছি, আমি একটা সেঞ্চুরি পেতেই পারতাম। কিন্তু এই উইকেটে কিছুই নিশ্চিত নয়।'
কিন্তু তামিমের আউটটা কি পরিকল্পনা করেই করেছিলেন কামিন্স? অস্ট্রেলিয়ান পেসার কিছুটা কৃতিত্ব দিচ্ছেন উইকেটকে, 'আমার মনে হয় লেংথ থেকে একটু লাফিয়ে উঠেছে। আমার মনে হয় পিচের আচরণও এখানে একটু দায়ী। আমার ভাগ্য ভালো, বলটা ওর গ্লাভসে লেগেছে।' আম্পায়ার অবশ্য তখন আউট দেননি, কামিন্সও ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না। তবে কামিন্স জানাচ্ছেন, উইকেটকিপার ওয়েড ও পয়েন্টে দাঁড়ানো ম্যাক্সওয়েল ঠিকই শুনতে পেয়েছিলেন, 'ওয়েড কিছু একটা শুনতে পেয়েছিল। ম্যাক্সিও (ম্যাক্সওয়েল)। আর ওয়েড খুব একটা ভুল করে না। খুব ভাল একটা রিভিউ হয়েছে, খোঁচাটা খুব সুক্ষ্ম ছিল।'
ভাগ্যটা তখন তামিমের একটু পক্ষে থাকলে হয়তো তিন অঙ্ক পেয়ে যেতেন। বাংলাদেশের দিনটাও হতে পারত অন্যরকম।