• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    'সব সময় বিশ্বাস ছিল, আমরাই জিতব'

    'সব সময় বিশ্বাস ছিল, আমরাই জিতব'    

    সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, আগের দিন রাতেও ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে। ক্রিজে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ থিতু। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় সাকিব কীভাবে প্রেরণা পেলেন, সেটা আরেকটা গল্প। তবে মুশফিকুর রহিম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, সব সময়ই বিশ্বাস ছিল এই ম্যাচ বাংলাদেশই জিতছে। 


    আগের দিন তামিম ইকবাল এসে সংবাদ সম্মেলনে বলে গিয়েছিলেন, এই উইকেটে ১৫৬ রানও চতুর্থ দিনে অনেক। ওয়ার্নার-স্মিথ অবশ্য সকালের প্রথম আধ ঘন্টায় তেমন কিছু মনে হতেই দিলেন না। তবে তামিম যেমন বলেছেন, একটা উইকেট গেলেই বদলে যাবে ম্যাচের চেহারা, হয়েছে সেটিই। ১৫৮ রানে ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর হুড়মুড় করেই ভেঙে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। মুশফিক জানাচ্ছেন, কখনোই মনে হয়নি ম্যাচটা তারা হারছেন, 'এমন উইকেটে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৬ রান করা কঠিন। সব সময় বিশ্বাস ছিল আমাদের। ওদের দুই জন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিল ওদের কাউকে যদি দ্রুত আউট করতে পারি তাহলে অনেক কিছু হতে পারে। যদি দ্রুত আউট নাও করা যায় যে উইকেট ছিল তাতে নিয়মিত লাইনে হিট করতে পারলে একটা না একটা বল অড বিহেইভ করবেই। যা আমাদের ইনিংসে হয়েছে। এদিক থেকে আমাদের বিশ্বাস ছিল।'



    তামিম যা বলেছিলেন,  নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য এই উইকেটটা দুর্বোধ্য একটা ধাঁধার মতো। মুশফিকও সেটি মনে করিয়ে দিলেন, 'একজন নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য খেলা খুব কঠিন। আর সেট ব্যাটসম্যান যতই রান করুক যে কোনো বলে সে আউট হতে পারে। আমাদের তিন জন উঁচু মানের স্পিনার ছিল, বিশ্বাস ছিল সুযোগ আসবেই। আমরা ফিল্ডার যারা আছি তারা যেন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারি।'


    কিন্তু শেষদিকে কামিন্স যখন মিরাজের এক ওভারেই দুই ছয় মারলেন, তখনও কি বিশ্বাসটা একটু টলে গিয়েছিল? মুশফিক জানাচ্ছেন, তখনও বাংলাদেশের স্থির বিশ্বাস, ম্যাচ বাংলাদেশের হাতেই ছিল, 'শেষে কামিন্স যখন দুইটা ছয় মারল তখনও আমার বিশ্বাস ছিল। আউট হতে লাগে একবল আর তখনও দরকার ২০ রান। অর্থাৎ আরও ২০টা স্কোরিং শট খেলতে হবে বা চেষ্টা করতে হবে। সে দিক থেকে বিশ্বাসটা ছিল। শুধু আমার না আমাদের পুরো দলের ভেতরে ছিল।'



    সকালে স্মিথ-ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দিয়ে সেই বিশ্বাসটা দলের ভেতর সঞ্চারিত করেছেন সাকিবই। সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সবার ছোট ছোট অবদানের কথা বললেন আলাদা করে, 'তামিম অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। ছোট ছোট অনেক অবদান ছিল, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। এই উইকেটে রান করাটা অনেক কঠিন, তাই ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। দুইটা ইনিংসেই ওর একশ হতে পারত, দুর্ভাগ্য ওর। মুশফিক ভাইয়ের অবদান, নাসিরের ফার্স্ট ইনিংস, সাব্বিরের সেকেন্ড ইনিংস, এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয় তাইজুল ও মিরাজের কথাও বলতে হবে। খুব ভালো সাপোর্ট ছিল টেস্ট জেতার জন্য। হয়তো আমি এক সাইড থেকে পাঁচ উইকেট পেয়েছি, কিন্তু অন্যদিক থেকে ওদের উইকেট নিতেই হয়েছে। সেই দিকটাও কাভার করতে পেরেছি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে এটা টিম গেম, সবার অবদানই আছে।'


    মুশফিক-সাকিব অনুচ্চারে আসলে জানিয়ে দিলেন, দিন এখন বদলে গেছে অনেকটাই।