''ভারতের সঙ্গে স্মিথদের ভুল মাথায় ছিল সাকিবদের'
মাত্র সপ্তাহখানেক হয়েছে, জাতীয় দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। তবে এর মধ্যেই সুনীল যোশি সাক্ষী হয়ে গেছেন ইতিহাসের, অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের পত্রিকা ডিএনএকে যোশি জানিয়েছেন, অন্যরকম কিছু একটার চেষ্টা হিসেবেই স্পিনারদের এই সাফল্য।
মাত্র এক সপ্তাহেই সাকিবদের কিছু শেখানো কঠিন। যোশি তো সেভাবে তো এখনও কাজ করারও সুযোগ পাননি। তবে মেহেদী-তাইজুলদের কীর্তিটা দেখেছেন কাছ থেকেই। যোশি জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ানদের করা ভুলগুলোই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তারা, 'সত্যি কথা বলতে কী, ভারতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা যে বলে ভুগেছিল আমরা ঠিক সেই বলটাই করার চেষ্টা করেছি। আজও সেটার ব্যতিক্রম ছিল না।'
কদিন পরেই চট্টগ্রামে শুরুর পরের টেস্ট। এখনই সব হাঁড়ির খবর নিশ্চয় ফাঁস করে দেওয়া ঠিক হবে না। যোশি তাই শুধু জানালেন, 'একেকজন ব্যাটসম্যানের খেলার আলাদা আলাদা ধরন থাকে। তাদের জন্য আলাদাভবে ফিল্ডিং সাজাতে হয়। এই ব্যাপারটা স্পিনারদের বল করার সময় মাথায় ছিল। কে কোন ধরনের শট খেলে সেটাও আমাদের মাথায় ছিল।'
ব্যাটসম্যানদের স্বস্তিতে থাকতে দেওয়া যাবে না, এটাই ছিল মূলমন্ত্র। যোশি জানালেন, কাজ হয়েছে তাতেই, 'পরিকল্পনা ছিল ব্যাটসম্যানদের কখনই হাঁপ ছাড়ার বা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলার সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। তাহলেই তারা হাঁসফাঁস করতে থাকবে। আর আরেকটা পরিকল্পনা ছিল কোনোভাবেই রান দেওয়া যাবে না, নিয়ন্ত্রিত বল করতে হবে।'
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে অবশ্য বাংলাদেশের স্পিনাররা একটু খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। যোশির কাছে সেটার ব্যাখ্যাও আছে, 'ওই সময় দুই উইকেট পড়ার পর আমাদের বোলাররা বাড়তি একটু বেশিই কিছুর চেষ্টা করে ফেলেছিল। আমি পরে ওদের বলেছি, ক্রিজে এখন বিশ্বের সেরা দুজন ব্যাটসম্যান আছে। তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে তারা নিজেদের অভ্যস্ত করে ফেলে। শৃঙ্খলাটা ঠিক রাখতে হবে। এমন কিছু করতে হবে যেটা তারা আশা করবে না।' পরে অবশ্য সাকিবই ওই দুই উইকেট নিয়েছেন। তাঁর কথাও আলাদা করে বললেন যোশি, 'সাকিবের চিন্তাভাবনা খুবই দারুণ। সে শুধু আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিংয়ের নেতৃত্বই দিচ্ছে না, অধিনায়ককে ফিল্ড সাজাতেও সাহায্য করছে।'