৫০ উইকেটের কথা মাথাতেই ছিল না তাইজুলের
তিন বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হয়েছিল অভিষেক। সেবার তিন উইকেটে বার্তা দিয়েছিলেন বড় কিছুর। এরপর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আট উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সেরা বোলিংয়ের কীর্তিও গড়েছেন। মিরপুরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-জয়ের কীর্তি যখন সাকিব-তামিমে ভাস্বর, অনেকটা অলক্ষ্যে থেকে একটা মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ উইকেটে হয়ে গেছে তাইজুলের, ১৪ টেস্টেই সেটি ছুঁয়ে ফেললেন। তাঁর চেয়ে কম টেস্ট খেলে ৫০ উইকেট পেয়েছেন শুধু মোহাম্মদ রফিক।
এমনিতে ৫০ উইকেট এমন কোনো মাইলফলকই নয়। তবে বাংলাদেশের জন্য সেটি বড় কিছুই। তাইজুলের আগে যে এই কীর্তি ছিল শুধু সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শাহাদাত হোসেন ও রফিকের। তাইজুল অবশ্য বললেন, কাল ৫০ উইকেট নেওয়ার ব্যাপারটা মাথায়ই ছিল না তাঁর, ‘সত্যি কথা মাঠে এসবের কিছুই মাথায় ছিল না। আমরা ওই সময়ে আমরা চাপে ছিলাম। শুধু আমরা না বাইরে আপনারা যারা ছিলেন তারাও কিন্তু চাপ অনুভব করেছেন। মাঠে খুব চাপে ছিলাম, ম্যাচটা কেমন হবে। জিততেই হবে এমন একটা প্রত্যয় ছিল আমাদের। আর কোনো কিছু আমাদের মাথায় ছিল না। সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল ম্যাচটা জেতার দিকে।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের তিন উইকেটের ছিল বড় অবদান। হ্যান্ডসকম্বের পর ফিরিয়ে দিয়েছেন অ্যাগার ও শেষ কাঁটা হয়ে থাকা হ্যাজলউডকেও। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওই আট উইকেটকে কি ছাপিয়ে গেল কালকের বোলিং? তাইজুল কোনোটিকেই আলাদা করে এগিয়ে রাখলেন না, ‘জিম্বাবুয়ে হয়তো ছোট দল। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধরে যে আমাদের এগিয়ে চলা সেটা শুরু হয়েছিল ওই সিরিজ দিয়ে। ওদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জিতে শুরু করলাম, পরে ওয়ানডে সিরিজ জিতলাম। এরপর বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ কিন্তু ভালো একটা পর্যায়ে আছে। প্রতিটি জায়গাতেই সফল। আপনি ওই পারফরম্যান্সকেও ছোট করবো না, এই পারফরম্যান্সকেও বড় করবো না। দুইটাতেই আমি খুশি।‘
তবে এই টেস্টেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন নিজের বোলিং নিয়ে। চট্টগ্রামে সেগুলো শুধরে নিতে চান, 'দেখা যাচ্ছে ভালো বলের সংখ্যাটা বেশি হচ্ছে না। কখনও উইকেট পাচ্ছি, কখনও বাজে বল হচ্ছে। আশা করি, আমাদের চট্টগ্রামে প্রস্তুতিতে থাকবে ভালো বলের সংখ্যা বাড়ানো।‘