'৮০ ভাগ খেলতে পারলেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব'
ঠিক একই অভিজ্ঞতা দুই বছর আগেও হয়েছিল। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের তিন ওয়ানডে শেষ হয়েছিল ঈদের ঠিক আগেই। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের আগে ঈদের দিনটা তাই পরিবার থেকে দূরেই কেটেছিল সবার। এবারও ঈদের দিনটা দলের অনেকের মাঠেই কেটেছে। দ্বিতীয় টেস্টের বাকি মাত্র এক দিন, চট্টগ্রামে ঐচ্ছিক অনুশীলনেই অনেকে নেমে পড়েছিলেন মাঠে। সেখানেই নাসির হোসেন জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন, পরের টেস্টে ৮০ ভাগ খেলতে পারলেই জিতবে বাংলাদেশ।
টেস্ট শেষের পরের দিনই অস্ট্রেলিয়া দল উড়ে এসেছে চট্টগ্রামে। তবে আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকায় এক দিন ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুযোগটা হাতছাড়া করেননি অনেকে। সেজন্য মুমিনুল, নাসির, মুস্তাফিজ, সাব্বিরদের মতো ঢাকার বাইরে যাদের বাসা, তারা চলে এসেছেন চট্টগ্রাম। তামিম অবশ্য চট্টগ্রামে থাকলেও আজ আসেননি অনুশীলনে।
তবে বাকিরা সবাই ছিলেন বেশ সিরিয়াস। চট্টগ্রামের আকাশ অবশ্য অশনী সংকেত দখাচ্ছে, রাতের ভারি বৃষ্টির পর সকাল থেকেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি এসেছে থেকে থেকেই। বাংলাদেশ দল অবশ্য মোটামুটি নির্বিবাদেই অনুশীলন করে ফেলতে পেরেছে। অনুশীলন শেষে নাসির হোসেন জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টের পর বাংলাদেশ দল এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী, ‘অবশ্যই একটা ভালো সুযোগ আছে। আল্লাহর রহমতে ভালো খেলছি। নিজেদের ৮০ শতাংশ খেলতে পারলেই অস্ট্রেলিয়াকে যে কোনো পরিস্থতিতে হারাতে পারব।’
কিন্তু ব্যক্তি নাসিরের জন্য দ্বিতীয় টেস্টে কি একটু বেশি চাপ থাকবে? দুই বছর পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে খুব বড় কিছু করতে পারেননি, প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে গেছেন শুন্য রানেই। তবে নাসির মনে করিয়ে দিলেন, মিরপুরের ওই উইকেটে যে কোনো রানই অনেক মূল্যবান, ‘ওই উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। রান করা বেশ কঠিন ছিল। দুই দলকে দেখুন, কেউ কিন্তু ২৫০-৩০০র বেশি করতে পারেনি। প্রথম টেস্টের পর তো খুব একটা সময়ও নেই। এর মধ্যে আমি যতদূর পারি নিজের ভুল ঠিক করার চেষ্টা করছি।’
তবে নাসির বলছেন, দলের সবাই এখন মানসিকভাবে বেশ চাঙা, ‘দলের সবাই এখন অনেক পরিশ্রম করেছে। সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী। মাঠে যে খেলবে সেই ভালো করবে ।’
নাসিরদের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছে, দ্বিতীয় টেস্টেও জয়টাই পাখির চোখ করছে বাংলাদেশ।