কেমন হবে চট্টগ্রামের উইকেট?
অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন শুরুর কথা ছিল তিনটায়। তড়িঘড়ি করে এসে ব্যাগটা রেখেই সোজা উইকেটের দিকে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়া কোচ ড্যারেন লেম্যান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঝে উইকেটগুলো ঢাকাই ছিল। লেম্যান সেই আবরণ সরিয়ে অনেকক্ষণ মনযোগ দিয়ে দেখলেন এক পাশের উইকেট। তবে তা এখনও অনেকটুকুই রহস্য হয়ে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়া কোচের কাছে। শেষ পর্যন্ত কোন উইকেটে খেলা হবে, সেটা জানা যাবে তো আগামীকাল টেস্ট শুরুর আগের দিনই।
উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই বাড়তি আগ্রহটা অবশ্য একদমই অবাক করার মতো নয়। মিরপুরের উইকেট নিয়ে কম আলোচনা হয়নি, অনুশীলন ম্যাচ খেলতে না পেরে শেষ পর্যন্ত একাডেমির উইকেটে অনুশীলন করেছেন প্রায় এক সপ্তাহ। কিন্তু প্রথম টেস্টের ফল বলছে, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। চট্টগ্রামে কি মিরপুরের মতো স্পিনের ফাঁদেই আবার অসিদের ফেলার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ? নাকি নিজেদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে হাঁটবে নিরাপদ পথে?
সেটা অবশ্য এখনই অনুমান করা কঠিন। তবে বাংলাদেশ দলের যে ছয়জন আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নাসির হোসেনও। উইকেট দেখে তাঁর মিরপুরের কথাই মনে পড়েছে, ‘উইকেট আমার কাছে মনে হয় আগের মতো হবে। এটা অবশ্য আমার ধারণা। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী রকম হবে। এখনও আসলে খুব বেশি ধারণা নেই।’
চট্টগ্রামে অনুশীলন ম্যাচে অবশ্য ঠিক অমন ঘূর্ণিজাল পাতা ছিল না। শফিউল তো প্রথম দিন বেশ কিছুটা সাহায্যই পেয়েছিলেন। ঘাসও ছিল খানিকটা। এই টেস্টে কী রকম হবে বলা কঠিনই। তবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গত বছর দুই ইনিংস মিলে কোনো দলই ৩০০ রানের বেশি করতে পারেনি। তার আগে চট্টগ্রামের উইকেট অবশ্য বরাবরই ব্যাটিং-বান্ধব ছিল। শেষ পর্যন্ত উইকেট কেমন হবে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই দিন।