• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    'সব দলে তো পাঁচ-ছয়টা সাকিব থাকে না!'

    'সব দলে তো পাঁচ-ছয়টা সাকিব থাকে না!'    

    মিরপুর টেস্টের আগেই মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, সাকিব-তামিমের ৫০তম টেস্টে তাঁদেরকে জয় উপহার দিতে চায় গোটা দল। তবে উপহার দেওয়ার কাজটা সাকিব-তামিম নিজেদের হাতেই তুলে নিয়েছেন, বলতে গেলে দুজনের কাঁধে চড়েই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিক মনে করিয়ে দিলেন, বিশ্ব ক্রিকেটেই এই দুজন এখন সবচেয়ে ধারাবাহিকদের অন্যতম। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক চান, সাকিব-তামিমের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই অন্যরা নিজেদের কাঁধে আরও দায়িত্ব নিক।
     


    প্রথম টেস্টে সাকিব যদি অর্জুন হয়ে থাকেন, তামিম ছিলেন তাঁর রথের সারথী কৃষ্ণ। এই বছর বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান-উইকেট সাকিবের, তামিম আছেন খুব কাছাকাছিই। স্মিথ তো প্রথম টেস্ট শেষেই বলেছিলেন, এই দুজনের জুটিটাই প্রথম ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। দুজনের ভূমিকাটা তাই মুশফিক দেখছেন দলের বাকিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে।    

    ‘সব দলে তো আর পাঁচ-ছয়টা সাকিব থাকে না। হয়তো এক জন থাকে, কোনো দলে নাও থাকতে পারে। এমন একজন খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে। আমরা চাইবো যেভাবে খেলছে সেই ধারবাহিকতা যেন সে ধরে রাখে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তামিম-সাকিব আমাদের দলে বড় একটা ভূমিকা পালন করে থাকে, সেটা আপনারাও জানেন। তামিম যখন একটা শুরু এনে দেয় তারপর আমাদের জন্য অন্যরকম একটা পরিস্থিতি হয়ে যায়। আমি যে বার্তাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, সবাই প্রত্যাশা করে ওরা খুব ভালো করবে। ওরা ভালো করবে এটা তো স্বাভাবিক। আমরা যারা সহায়কের ভূমিকায় আছি তারাও এগিয়ে এলে ওরা আরও ফ্রি মাইন্ডে খেলতে পারবে। সাকিব যা করছে তা অসাধারণ। অধিনায়ক হিসেবে আমি চাইবো ও যেন এটা ধরে রাখে। তামিম আর সাকিব যেভাবে পারফরম্যান্স করছে তাতে শুধু বাংলাদেশে নয় আমার মনে বিশ্ব ক্রিকেটে এই সময়ে তারা সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফরমার।’

    তবে প্রথম টেস্ট যতই সাকিব বা তামিমময় হোক, ছোট ছোট অবদান ছিল অন্য অনেকেরও। সাকিব নিজেই সংবাদ সম্মেলনে এসে সেসব মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের আশা, এই টেস্টে সেই অবদান আরেকটু বেশি হবে।

     

    ‘আপনি যদি তামিম এবং সাকিবের কথা বাদ দেন আমরা কিন্তু কেউ নব্বই কিংবা শতভাগ ইনপুট দিতে পারি না। কেউ ৫০বা ৬০ ভাগ দিয়েছি। আমাদেরও ইচ্ছে আছে ওদের ছাড়াও যেন আমরা সবাই সুযোগ পেলে সেটা বড় করতে পারি। এমনকি মিরাজ-তাইজুল যে কাজটা করেছে, ওদের সেই সামর্থ্য আছে। আমরা যদি চার-পাঁচজন কিংবা ছয় জনও যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে একবার চিন্তা করুন আমাদের দলটা আরও কতো শক্তিশালী হতে পারে। এই একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আশা করি এটাও বেশ ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ হবে।‘

    অস্ট্রেলিয়া যে রীতি ভেঙে দল ঘোষণা একদিন পিছিয়ে দিয়েছে, এই ব্যাপারটাও মুশফিক দেখছেন নৈতিক জয় হিসেবে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। নৈতিক জয় তো অবশ্যই। তারা হয়তো চাপে আছে। আবার চাপে থাকলেই যে তারা হেরে যাবে, তা কিন্তু নয়। আবার চাপ না থাকলেই যে ভালো করবে, সে রকমই নয় ব্যাপারটা। তারা অনেক পেশাদার একটা দল। তারা জানে তাদের কী করতে হবে। এটাও সত্য যে, গত টেস্টে তারা যে লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তাতে তারা জেনে গেছে যে হোম কন্ডিশনে আমরা কতোটা ‘ডেঞ্জারাস’। আমার এই মেসেজটা খুব ভালোভাবে তাদের কাছে গেছে।’

    দ্বিতীয় টেস্টের আগে এই বার্তা দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে মনে করতে পারে বাংলাদেশ।