সাব্বিরকে দেখে কোহলিকে মনে পড়েছে লায়নের
সশস্ত্র সমরের মধ্যেও ছোট ছোট খণ্ডযুদ্ধ থাকে। তেমনি নাথান লায়ন আর সাব্বির রহমানের খণ্ড লড়াইয়ের শুরুতে সাব্বির এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত লায়নই হেসেছেন শেষ হাসি। তবে দিন শেষে দুজনেই দুজনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন, লায়ন তো সাব্বিরকে তুলনা করেছেন কোহলির সঙ্গেই। সাব্বির অবশ্য এটা বড় কোনো ব্যাপার বলে মনে করছেন না, বরং দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটাই বড় তাঁর কাছে।
সাব্বির যখন নেমেছিলেন, ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ কাঁপছে। লায়নের মুখোমুখি তৃতীয় বলেই বল জুঠে গিয়েছিল আকাশে, তবে ক্যাচ হয়নি। সাব্বির অবশ্য লায়নের পরের পাঁচ বলের মধ্যে একটি চার ও ছয় মেরে পালটা আক্রমণের বার্তাটা ভালোভাবেই দিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে স্টাম্পিং হয়ে গেছেন। তবে শেষ হাসি হাসলেও লায়ন অকুন্ঠ প্রশংসাই করেছেন সাব্বিরের, ‘ও খুব ভালো খেলোয়াড়, কোহলিকে মনে করিয়ে দিয়েছে সে। ও যেভাবে ব্যাট করেছে, শট খেলেছে, রক্ষণ না করে পালটা আক্রমণের চেষ্টা করেছে, পা ব্যবহার করেছে, সেটা বেশ সাহসী ক্রিকেট, খুব ভালো ব্যাট করেছে। সেজন্য ও আমাদের সম্মানটাও আদায় করে নিয়েছে।’
সাব্বিরের উইকেটে যে ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল, লায়ন তা স্বীকারও করে নিলেন, শুরুতে ওর ভাগ্য ভালো ছিল, তবে ক্রিকেটে এটা হয়। ওর উইকেটেও ভাগ্য আমার পক্ষে ছিল, স্টাম্পিংটা হয়ে গেছে। আসলে ওটা তো আমার সেরা বলই ছিল না।’
সাব্বিরও প্রশংসাটা ফিরিয়ে দিলেন লায়নকে, ‘না আসলে লায়ন গ্রেট বোলার, পাঁচ উইকেট পেয়েছে।’ কোহলির সঙ্গে তুলনাটা অবশ্য খুব আপ্লুত করছে না সাব্বিরকে, ‘ কোহলির মতো আমি এখন হতে পারিনি, তবে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। কোহলি কোহলি, আমি আমিই। এখানে ওর সাথে তুলনাটা বড় ব্যাপার নয়। আমি আমার খেলা খেলতে পারি, দলের জন্য অবদান রাখতে পারি কি না অন্য কারও সঙ্গে তুলনার চেয়ে সেটাই বড় ব্যাপার।’
শেষ পর্যন্ত সাব্বিরের অবদান কতটা কাজে লাগল, তা জানা যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই।