রঙ বদলানোর আশায় আছেন নাসির
প্রথম দিন শেষে সাব্বির রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। নাথান লায়ন অবশ্য বলে গিয়েছিলেন, ম্যাচটা ভারসাম্যেই আছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ম্যাচের চিত্র এতোটাই পরিষ্কার, সেই প্রশ্নও আর উঠল না। নাসির হোসেন যেমন অকুন্ঠে স্বীকার করে নিলেন, বাংলাদেশই এখন ব্যাকফুটে। এখন শুধু আশা করছেন, সকালের এক দেড়-ঘণ্টাতেই বাংলাদেশ দ্রুত কিছু উইকেট নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে।
দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে আছে ৮০ রানে, হাতে ৮ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, দুই ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার-হ্যান্ডসকম্ব উইকেটে থিতু হয়ে গেছেন, দলকে আশা দেখাচ্ছেন বড় কিছুর। তবে টেস্ট ক্রিকেটে একটা সেশনেই অনেকটা রঙ বদলে যেতে পারে। নিজেদের অবস্থা স্বীকার করেও নাসির এখনও স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর, ‘আমরা এখনো ৮০ রানে এগিয়ে আছি। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, এখানে আমি কিছুই বলতে পারবেন না। আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি। টেস্টে এক-দেড় ঘণ্টায় অনেক কিছু বদলে যায়।’
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাত্র দুই উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে নাসির মনে করছেন, বোলাররা খুব একটা খারাপ করেননি, ‘বোলাররা খারাপ করেনি। ওয়ার্নার কিন্তু এতো ধীরে ব্যাটিং করে না। কিন্তু আজ করেছে, মানে আমরা বোলিং ভালো করেছি। শুধু উইকেট পড়েনি। যে কোনো মুহূর্তে খেলা বদলে যেতে পারে। আজ ব কালই ফল হবে না; খেলা পাঁচদিনে যাবে। আমরা অবশ্য ফল নিয়ে চিন্তা করছি না।’
প্রশ্ন উঠল, তাহলে কি অতি রক্ষণাত্মক মনোভাবের জন্যই বোলারদের এমন হাপিত্যেশ করতে হয়েছে? নাসির সেরকম মনে করছেন না, ‘আমরা রক্ষণাত্মক ছিলাম আবার আক্রমণাত্মকও ছিলাম। আপনি যদি দেখেন, ওয়ার্নারকে সাকিব ছয়-সাত নম্বর স্টাম্পের দিকে (বেশি অফসাইডে) বল করেছে। ওইটা ওর জন্য খেলা কঠিন। স্মিথ কিন্তু সুইপ খেলে না, যে দুইটা চার সে মেরেছে, প্যাডল সুইপ করে মেরেছে। আমার মনে হয় যে, স্টাম্পের বল খুব একটা টার্ন করছিল না। স্টাম্পের বলে সাধারণত রান বেশি হয়।’ কিন্তু শেষ বিকেলে কি আরেকটু আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজাতে পারতেন না মুশফিক? নাসির এখানেও অধিনায়কের পক্ষেই ব্যাট ধরলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের কথা বলবো, বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার ছিলো, কারণ ব্যাটসম্যান দুজনই সেট ছিল। আর রানটা এমন, খুব আক্রমণাত্মক হওয়ারও সুযোগ নেই।’
মুশফিকের ‘সেফ-ক্রিকেটের’ সাথে শেষের কথাটা কিন্তু একদমই মিলছে ন!